অনলাইন গেমিংয়ের জন্য একটি একক করের হার বিবেচনা করতে পারে সরকার। তথাকথিত দক্ষতা নির্ভর গেম এবং সুযোগ ভিত্তিক গেমগুলির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে ১৮ এবং ২৮ শতাংশ করে কর নির্ধারণ করা হতে পারে। সরকারের এই চিন্তার সঙ্গে অবগত দুই ব্যক্তি এই বিষয়ে জানান হিন্দুস্তান টাইমসকে।
জানা গিয়েছে, অনলাইন গেমের উপর কর নির্ধারণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জিএসটি কাউন্সিল। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কর্তারা এই বিষয়ে জানান হিন্দুস্তান টাইমসকে। করের প্রয়োজনে অনলাইন গেমিং সেক্টর সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গত ২৪ মে মন্ত্রীদের একটি গোষ্ঠী গঠন করে জিএসটি কাউন্সিল। প্রাথমিকভাবে, এটি গুজরাতের সভাপতিত্বে সাত সদস্যের একটি মন্ত্রী পর্যায়ের প্যানেল ছিল। পরে, ১১ জুন তেলেঙ্গানার অর্থমন্ত্রীকে অষ্টম সদস্য হিসাবে এই গোষ্ঠীতে যুক্ত করা হয়েছিল। আগামী মাসেই মন্ত্রী গোষ্ঠী অনলাইন গেমিংয়ের উপর কর ধার্য করার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয় নিয়ে একজন জানান, রামি হল দক্ষতা নির্ভর গেম। তবে কার্ড বিতরণের বিষয়টি পুরোপুরি সুযোগ ভিত্তিক। লটারির মতো সেটা। তাছাড়া এমনি ক্যাসিনোতে বয়সের ভেরিফিকেশন করা সম্ভব। তবে অনলাইনে তা সম্ভব নয়। এখানে ১৩ বছর বয়সী তরুণও লগইন করে গেম খেলতে শুরু করতে পারে। সমাজের জন্য এটা খুবই ক্ষতিকারক। এর জেরে সবধরনের অনলাইন গেমের উপর একক হারে ২৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে একক হারে সব লটারির উপর ২৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করে কেন্দ্র। অনলাইন গেমের ক্ষেত্রেও সেরমই ভাবনা চিন্তা রয়েছে কেন্দ্রের। কোনটা কোন প্রকারের (দক্ষতা নির্ভর না সুযোগ ভিত্তিক) গেম জটিলতা এড়াতেই একক হারে কর নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।