রকেট গতিতে বেড়ে চলেছে দেশে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে, এবার খানিকটা স্বস্তির ইঙ্গিতবহ বার্তা এল কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও ন্যাচরাল গ্যাস বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব পঙ্কজ জৈন শোনালের আশার বার্তা।
পঙ্কজ জৈন বলেছেন, যদি একটি দীর্ঘ সময়ের জন্য অপরিশোধিত তেলের দাম বাজারে কমতির দিকে থাকে, তাহলে তেল কোম্পানিগুলি জ্বালানির দাম কমাতে পারে। উল্লেখ্য, দেশে তেলের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে 'ওপেক' সহ বাকি কিছু দেশ থেকে আরও বেশি তেল সরবরাহ চায় ভারত। উল্লেখ্য, বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম তৈল আমদানিকারক দেশ ভারত। এই তথ্য দিচ্ছে রয়টার্স। ভারত, ৮০ শতাংশের বেশি তেল বিদেশ থেকে আমদানি করে। যে সমস্ত দেশ থেকে ভারত তেল আমদানি করে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম রাশিয়া। রাশিয়ার পরই রয়েছে, ইরাক ও সৌদি আরব। এই সমস্ত দেশ থেকে তেল আমদানি করে থাকে ভারত।
এদিকে, মঙ্গলবার হঠাৎ আন্তর্জাতিক অপরিশোধিত তেলের দাম ৩৩ মাসে সবচেয়ে নিচে পড়েছে। ২০২১ সালের পর এই প্রথমবার ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ৭০ ডলারের নিচে নেমেছিল। তিন বছরের সময়সীমার মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দাম এমনভাবে নিচে পড়ে যাওয়ার ঘটনা জ্বালানির দামে স্বস্তি ফেরাতে পারে। তেলের দামে কমতি তেল মার্কেটিং সংস্থাগুলির জন্য নিঃসন্দেহে লাভের দিক থেকে ইতিবাচক দিক। দাম কমলে তা গ্রাহকদের মুখেও হাসি ফোটাবে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার উদ্বেগের কারণে দাম কমেছে, যার ফলে জ্বালানির চাহিদা কমছে বলে দাবি করা হচ্ছে বহু রিপোর্টে। অপরিশোধিত তেলের দামের পতন জ্বালানি খুচরা বিক্রেতাদের, দেশের তেল কোম্পানিগুলির জন্য পেট্রোল এবং ডিজেল বিক্রয়ে তাদের মার্জিন আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে। পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানো মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে, যা গ্রাহকদের স্বস্তি ফেরাতে পারে। তবে এক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে অপরিশোধিত তেলের দামে হ্রাসের ট্রেন্ড থাকালে তবেই দাম কমানো সম্ভব, বলছে বহু রিপোর্ট।