৪৮ বছর বয়সী চন্দ্রশেখরন পি কর্মরত ছিলেন কর্ণাটকের ‘মহর্ষি বাল্মিকী শিডিউল ট্রাইব ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’এ। বেঙ্গালুরুতে পোস্টেড এই অফিসারের মৃত্যু ঘিরে উঠছে নানান প্রশ্ন। সন্দেহ, যে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে এই আত্মহননের নেপথ্যে কোন ঘটনা থাকতে পারে? উঠে আসছে দুর্নীতি ঘিরে বহু তত্ত্ব। সদ্য তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় ৩ তাবড় সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁরা আপাতত ফেরার।
চন্দ্রশেখরনের মৃত্যু ঘিরে উদ্ধার হয়েছে ৬ পাতার সুইসাইড নোট। সেখানে তাঁর ৩ জন সিনিয়র অফিসারকে তিনি তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন। তাঁর চিঠিতে ৮৭ কোটি টাকার অপব্যবহার ঘিরে তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতন ওই ৩ অফিসারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। পুলিশ বলছে, ‘ তিনি অভিযোগ করেছেন যে তার তিন সহকর্মী তাঁকে 'হয়রানি' করেছেন। যারা তাঁকে 'ব্যক্তিগত লাভের জন্য তহবিলের অপব্যবহার' করার জন্য ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ।’ এখানেই শেষ নয়। পুলিশ বলছে, পরে তিনি জানতে পারেন,' যদি এই মামলায় তদন্ত শুরু হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে, তাহলে তাঁকে জেলে যেতে হবে এবং এটিই তাঁকে এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্ররোচিত করেছে।' চন্দ্রশেখরন ওই চিঠিতে লেখেন, তাঁকে আলাদা একটি সমান্তরাল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সিনিয়রা চাপ দিতে থাকেন। যে অ্যাকাউন্টে কর্পোরেশনের প্রাইমারি অ্যাকাউন্টের হিসাব বহির্ভূত টাকা সরিয়ে ফেলা যাবে। এমনই দাবি চিঠিতে করেছেন চন্দ্রশেখরন। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, যে এই ঘটনায় তাঁর কাছে নির্দেশ আসছিল একদন অফিসার ও একজন মন্ত্রীর তরফে।
পুলিশ জানাচ্ছে, শুক্রবারই বেঙ্গালুরু থেকে নিজের বাড়ি ফিরেছিলেন চন্দ্রশেখরন। সেখানেই তিনি আত্মহত্যা করেন। রবিবার যখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না, তখনই তিনি এই পথ বেছে নেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর কেস রেজিস্টার করলেও, পরে ওই অভিযুক্ত ৩ অফিসারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের মামলা দায়ের করে। তফশিলি জাতি উন্নয়ন মন্ত্রী বি নগেন্দ্র জানিয়েছেন বিষয়টির তদন্তে নেমেছে সিআইডি। তিনি বলছেন, এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে টাকা ট্রান্সফারের সময়ই দুর্নীতি ঘটেছে। তিনি বলছেন,'৮৭ কোটির কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৮ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টরদের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রত্যেকেই বলেছেন তাঁরা ৫০ কোটি রিফান্ড করবেন মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে। '