চিকিৎসকদের বন্ড স্বাক্ষর নীতি বাতিল করতে নির্দেশিকা তৈরি করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এমনই দাবি করা হল রিপোর্টে। এর আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের সুপারিশ মেনে চিকিৎসকদের বন্ড নীতি কার্যকর করা হয়েছিল দেশে। সেই নীতি অনুযায়ী, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করার পরে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে একটি নির্ধারিত সময়ের জন্য কাজ করতে হয় চিকিৎসকদের। নির্দিষ্ট সময় কাজ না করলে রাজ্য বা মেডিক্যাল কলেজগুলিকে জরিমানা দিতে হত সেই চিকিৎসকদের।
এই বন্ড নীতির জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ২০১৯ সালে এই সংক্রান্ত মামলায় বন্ড নীতি বহাল রেখেছিল শীর্ষ আদালত। আদালত জানিয়েছিল, সরকারি হাসপাতালে শিক্ষাপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের নির্ধারিত সময়ের জন্য সরকারি হাসপাতালে কাজ করা বাধ্যতামূলক। এই নীতি কার্যকরের জন্য কেন্দ্র ও মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া-কে নিয়ম প্রণয়ন করতে বলা হয়েছিল। এরপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগ একটি কমিটি গঠন করে এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে।
এই বন্ড নীতি পর্যালোচনা করে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের কমিটি জানায়, এই নীতি নিয়ে রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিৎ। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন আইন, ২০১৯ বা পূর্ববর্তী ভারতীয় মেডিকেল কাউন্সিল আইন, ১৯৫৬-এর অধীনে কোনও বন্ডের বিধান নেই। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলি গ্রামাঞ্চলে সমাজকল্যাণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শূন্যপদগুলি পূরণ করতেই এই বন্ড নীতি আরোপ করে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে সরকারি ভর্তুকির উপর নির্ভর করে বন্ডের সময় নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এই আবহে এই বন্ড নীতি পুরোপুরি বাতিল করার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পুরোনো নীতিটি বাতিলের জন্য একটি নির্দেশিকা প্রস্তুত করছে কেন্দ্র। এদিকে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ‘গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডাক্তারদের পরিষেবা বাড়ানোর জন্য বাধ্যতামূলক গ্রামীণ পরিষেবা থাকা উচিত। তবে সেই নিয়মে নমনীয়তা থাকবে। এছাড়াও, বন্ডে আর্থিক জরিমানার বিষয়টি নাও থাকতে পারে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি বাস্তবায়িত করা হতে পারে।’