সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গবেষণা সংস্থার(DRDO) নতুন ওষুধ 2-DG(2-deoxy-D-glucose)। করোনা রোগীর অক্সিজেন নির্ভরতা কমাতে ও দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে এই ওষুধ। তবে, এই ওষুধের উপর আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন, মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
গত ৮ মে 2-DG-কে ছাড়পত্র দেয় DGCI । যদিও ওষুধের আরও ট্রায়াল, পরীক্ষা-নিরীক্ষার দাবি করছেন অনেকেই।
কেমন ট্রায়াল হয়েছে 2-DG(2-deoxy-D-glucose)-র?
এখনও পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে ট্রায়াল হয়েছে ২-ডিজির। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জার্নালে প্রকাশিত হয়নি। তবে, ডিআরডিও-র এই নয়া ওষুধ তৈরির প্রকল্প অধিকর্তা বিজ্ঞানী সুধীর চন্দানা জানিয়েছেন, 'মাঝারি থেকে গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীকে এই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকেই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাঁদের দেহে অক্সিজেনের চাহিদাও কমাতে সাহায্য করেছে এই ওষুধ। শুধু তাই নয়, কোনও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি।'
ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, যাঁরা এই ওষুধ নিয়েছেন, তাঁরা অপেক্ষাকৃত দ্রুত করোনা নেগেটিভ হয়েছেন। ফেজ-২-তে মোট ১১০ জন করোনা রোগীর উপর ট্রায়াল করা হয়। তৃতীয় ফেজে ২২০ জনের উপর ট্রায়াল চালানো হয়। দেশের মোট ২৭টি কোভিড হাসপাতালে এই ট্রায়াল করা হয়েছিল।
প্রশ্ন
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আরও প্রমাণ প্রয়োজন। মান্থলি ইন্ডেক্স অফ মেডিকেল সাপ্লাইজ-এর এডিটর সিএম গুলহাটির কথায়, 'আমি কখনই ওষুধটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। তবে, কোনও ঘোষণার সঙ্গে প্রমাণও প্রকাশ করা উচিত্। এক্ষেত্রে কোনও মিথ্যা আশা জাগানো ঠিক হবে না। তাছাড়া ট্রায়াল করে বেশিরভাগ তথ্য প্রকাশ না করাও মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়। এটি বড় মেডিকেল জার্নালে প্রকাশ হওয়া উচিত্ যাতে এর ক্রস চেক করা সম্ভব।'
তাঁর মতে, 'বড্ড তাড়াহুড়ো করে আমরা ওষুধের অ্যাপ্রুভালের দিকে ঝুঁকছি।'
কারা প্রথম এই ওষুধ পাবে?
সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং নয়া ওষুধের প্রথম ব্যাচটি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের হাতে তুলে দেন।
এক বাক্স করে ওষুধ তুলে দেওয়া হয় এইমস-এর প্রধান ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া ও সস্ত্র বাহিনীর স্বাস্থ্য পরিষেবার লেফট্যানেন্ট জেনারেল সুনীল কান্তের হাতেও।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানায়, প্রাথমিকভাবে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই ওষুধ সরবরাহ করা হবে।