কয়েকদিন আগেই কোভিশিল্ডের পূর্ণাঙ্গ অনুমোদন বা বাজারকরণের অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিল সেরাম ইনস্টিটিউট। সম্প্রতি আবার ইউনিভার্সাল টিকার তকমা পেয়েছে কোভ্যাক্সিনও। তারাও মার্কেটিং অথরাইজেশনের জন্য আবেদন জানিয়েছে। এই আবহে উভয় টিকাকেই বাজারকরণের অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। এই আবহে এবার দুই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকেই তাদের টিকা সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে জল্পনা শুরু হলেও দুই টিকাকেই পূর্ণাঙ্গ মার্কেটিং অথরাইজেশন দেওয়ার আগে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। সাবজেক্ট ম্যাটার কমিটির কাছে দুই টিকার আরও তথ্য জমা পড়লে তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ বাজার অনুমোদন তখনই দেওয়া হয় যখন এই বিষয়ে পর্যাপ্ত ডেটা থাকে। তথ্য খতিয়ে যদি দেখা যায় যে ভ্যাকসিনটি প্রাপকদের জন্য নিরাপদ হয় এবং তা কার্যকর হয়, তাহলে সেই টিকাকে বাজারকরণের অনুমোদন দেওয়া হয়।
কেন্দ্রের সূত্রে খবর, সিডিএসসিও দুই টিকার কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আর তাই দুই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থার থেকে আরও তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ডেটার গুণমান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সম্পূর্ণরূপে বিশেষজ্ঞদের উপর নির্ভর করবে এই অনুমোদনের বিষয়টি। তাদের সামনে উপস্থিত ডেটা নিয়ে তাদের সন্তুষ্ট হতে হবে। তবেই মিলবে অনুমোদন। কেন্দ্রের অনুমোদন মিললে পরে ওষুধের দোকানেও কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকা বিক্রি শুরু হবে।