টুইটারের সঙ্গে এবার সরাসরি সংঘাতের পথে গেল কেন্দ্রের ইলকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কেন আড়াইশো অ্যাকাউন্ট আনব্লক করল টুইটার, সেই সংক্রান্ত নোটিশ পাঠানো হয়েছে মার্কিন সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, কৃষকদের গণহত্যা সম্পর্কিত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার জন্য সরকার আড়াইশো অ্যাকাউন্টকে বন্ধ করে দিতে বলে। প্রাথমিক ভাবে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিলে বারো ঘণ্টার মধ্যেই সোমবারে সেই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেয় টুইটার। সেই জন্যই এবার এল সরকারি পত্রাঘাত।
নোটিশে বলা হয়েছে যে টুইটার আইটি আইনের ৬৯ (এ) ধারাটি ভঙ্গ করেছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে সাত বছরের জেল হতে পারে। সরকারি সূত্রে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানানো হয়েছে যে তারা মনে করছে যে আইন ভঙ্গ করেছে টুইটার। মঙ্গলবার বিকেলে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এখনও এই নিয়ে টুইটার কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
নোটিশে সরকার বলেছে যে কোনও ভাবেই গণহত্যায় উস্কানি দেওয়াকে বাকস্বীধানতার অংশ বলা চলে নয়। টুইটার কেন্দ্রীয় সরকারের আইন মানতে বাধ্য ও তাদের কোনও এক্তিয়ার নেই নিজেদের মতো করে আইনের ব্যাখ্যা করার বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের মতে পরিবকল্পিত ভাবে সমাজে অশান্তি ও বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। কীভাবে ২৬ জানুয়ারি হিংসা ছড়িয়েছিল, সেই কথাও উল্লেখ করা আছে। টুইটারের কোনও সাংবিধানিক, আইনি ও বিধিবদ্ধ অধিকার নেই সরকারের নির্দেশ অমান্য করার বলে কেন্দ্রের দাবি।
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে যে কৃষি আন্দোলন তো এতদিন ধরে চলছে, কোনও দিন তো কোনও অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে বলা হয়নি। কিন্তু যখন কোনও হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করানো হচ্ছে যেখানে এটা বলা হচ্ছে সে সরকারের শীর্ষস্থানীয় কোনও নেতা কৃষকদের বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র লিপ্ত, তখন সেটা মানা যায় না। এই হ্যাশট্যাগ থেকে হিংসা ছড়াতে পারত। সেই কারণে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত মহম্মদ সেলিমের সহ প্রায় আড়াইশো অ্যাকাউন্ট সোমবার ভারতে ব্লক করে দিয়েছিল টুইটার। পরে টুইটার বলে যে এই অ্যাকাউন্টগুলির পোস্টের নিউজ ভ্যালু আছে এবং ব্লক করলে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হচ্ছে। সেই কারণে আনব্লক করা হচ্ছে অ্যাকাউন্টগুলিকে। এর জন্যেই অবশ্য সরকার এবার নোটিশ পাঠালো।