নতুন নিয়ম, নতুন রূপে আসবে লকডাউন ৪। জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাজ্যদের থেকে শুক্রবারের মধ্যে সাজেশনও চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুসারে এবার রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলদের হটস্পট নির্ধারণ করার অনুমতি দেবে কেন্দ্র, বলে জানা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে বিশেষ ট্রেন বৃদ্ধি করা ও বিমান পরিষেবা চালু করা হবে বলেও সূত্রের খবর।
তবে সারা ভারতে স্কুল, কলেজ, মল, সিলেমা হল বন্ধ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু রেড জোনেও সেলুন ইত্যাদি খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। সবুজ জোন সম্পূর্ণ খুলে যাবে, সীমিত কিছু বিধিনিষেধ থাকবে অরেঞ্জ জোনে ও রেড জোনেই সর্বাধিক কড়াকড়ি থাকবে, মূলত কন্টেনমেন্ট জোনে।
অনেক রাজ্যের দাবি এই জোনের পদ্ধতি বন্ধ করে শুধু কন্টেনমেন্ট ও নন-কন্টেনমেনন্ট হিসাবে ভাগ করতে। কেউ কেউ আবার চাইছে তাদের ওপরেই রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোন চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হোক। এই আর্জি সম্ভবত মেনে নিতে চলেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, কোনও রাজ্যই চায় না লকডাউন পুরোপুরি উঠুক কিন্তু চায় ধাপে ধাপে শুরু হোক অর্থনৈতিক কার্যকলাপ।
লকডাউন বাড়ুক চায় পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, অসম ও তেলেঙ্গানা। ধাপে ধাপে ট্রেন পরিষেবা বৃদ্ধি ও ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে আগামী সপ্তাহ থেকে বলে জানা গিয়েছে। মেট্রো পরিষেবা শুরু হতে চলেছে কলকাতায়। গণপরিবহণ ব্যবস্থা আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে।
দোকান , বাজার ও ই-কর্মাসের ওপর কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বড় শহরে অর্থনৈতিক গতিবিধি শুরু করতে চায় গুজরাত। আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্র যদিও সেরকম কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। অর্থনৈতিক কার্যকলাপ চালুর পক্ষে রায় দিয়েছে দিল্লি, কর্নাটক, অন্ধ্র প্রদেশ ও কেরালা। কেরালা তো আবার হোটেল ও রেস্তোরা চালু করতেও ইচ্ছুক।
পরিযায়ীদের ফেরার পর দ্রুত আক্রান্ত বাড়ছে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায়। এই রাজ্যগুলি লকডাউন শিথিল করার পক্ষে রায় দেয় নি।
দেশে এই মুহূর্তে করোনা আক্রান্ত ৮৫ হাজারের বেশি, মৃত ২৭৫৩।