বেমক্কা একটি টুইট করে বিপাকে পড়ে গেলেন সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। কীভাবে চাষী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সেই সম্পর্কিত টুইট করেন তিনি। একটি টুলকিট অর্থাৎ একটি গুগল ডকুমেন্ট শেয়ার করেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল ভারতের যে ইমেজ আছে বিশ্বে চা ও যোগের জন্য়, সেটাকে বদলাতে হবে। বিভিন্ন ভারতীয় শিল্পপতিদের ব্যবসা টার্গেট করার কথা বলা হয়। এমনকী কৃষি আইন যদি প্রত্যাহার হয়, তাহলেও লড়াই থামবে না, যুদ্ধ সবে শুরু হয়েছে, সেই কথা বলা হয়।
এর জেরেই বিতর্ক শুরু হয়। পরে এই টুইটটি ডিলিট করে দেন। সেই নথির অ্যাকসেসও সরিয়ে নেওয়া হয়। যদিও স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছিলেন অনেকে। পরে একটি পরিবর্তিত টুলকিট টুইট করেন তিনি। সাফাই দেন যে আগের টুলকিটটি প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। কিন্তু তারমধ্যেই রীতিমত হই হট্টগোল শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শাসক দলের অনেক সমর্থকরা দাবি করেন যে এই নথি থেকে স্পষ্ট, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে ভারতের বিরুদ্ধে। যদি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্যেই এই নথি হয়, তাহলে কেন কৃষি আইনগুলি কৃষকদের জন্য কেন খারাপ, সেই সংক্রান্ত বিস্তারিত লেখা নেই সেটা নিয়েও প্রশ্ন করেন অনেকে। এটি প্রোপাগান্ডার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। সোচ্চার হন কঙ্গনা রানাওয়াতও।
মঙ্গলবার গ্রেটা থুনবার্গ ও রিহানার টুইটের পর ভারতীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয় যে না জেনে শুনে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে বলা হয়। একই সুরে সেলেবরাও সমালোচনা করেন। ঐক্যবদ্ধ ভারতের ডাক দেওয়া হয়। তারপর বুধবার রাতে গ্রেটার এই টুইট। তার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একশ্রেণি নিশ্চিত যে পরিকল্পিত ভাবে যে ভারতের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে।