পাত্র সরকারি চাকুরে। হরিয়ানার বাসিন্দা। পাত্রীপক্ষের কাছ থেকে একটি এসইউভি গাড়ি ও ২০ লাখ টাকা পণ চেয়েছিল পাত্রপক্ষ। এদিকে কার্নালে বিয়েও করতে এসেছিলেন পাত্র। কিন্তু দাবি মতো বিয়ে বাড়ির দরজায় সেই বিলাসবহুল গাড়ি কোথায়?এরপরই বিয়ে করার ব্যাপারে বেঁকে বসেন পাত্র। এনিয়ে কার্যত দফায় দফায় নাটক চলে বিয়েবাড়িতে। এরপর পাত্রীপক্ষ পুলিশ ডাকে। শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে রাজি হয় পাত্র পক্ষ। তবে তাতেও কিন্তু দ্বন্দ্ব থামেনি। রাতভর এনিয়ে টানাপোড়েন চলে। এই ঘটনাকে ঘিরে বিয়ে বাড়িতে একেবারে শোরগোল পড়ে যায়। সকাল হতেই থানায় যায় পাত্রীপক্ষ। সরাসরি পাত্র ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পাত্রী।
কার্নাল সিভিল পুলিশ লাইনস পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রমেশ চন্দ্র বলেন, পাত্র, তার বাবা ও কাকার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাত্রপক্ষ। তাদের দাবি , আমরা পণ ছাড়াই বিয়ে করতে রাজি ছিলাম। কর্নালের এসপি গঙ্গারাম পুনিয়া বলেন, এফআইআর নেওয়া হয়েছে। কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হরিয়ানা মহিলা কমিশনও গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করছে। কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রীতি ভরদ্বাজ দালাল পাত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন ও পুলিশকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।