কয়েক বছর আগে বলিউডে একটি ছবি হয়েছিল ‘হাসি তো ফাসি’। পরিণীতি চোপড়া, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা অভিনীত সেই ছবিতে শেষমেশ দেখা যায়, হবু কনের বোনের প্রেমে পড়ে যান হবু বর। সেখানে অবশ্য বিয়ের আগে হবু বরের সঙ্গে কনের প্রেম ছিল, যা পরে ভেঙে যায়। সেই ফিল্মের কাহিনিকে সামান্য টুইস্ট করে নিলেই বাস্তব জীবনের এই ঘটনা মিলে যেতে পারে! এই ঘটনা বিহারের সারানের। যেখানে শেষমেশ কনের বোন উঠল ছাদনাতলায়!
বিয়েবাড়িতে পুরো শোরগোল! যাঁরা নিমন্ত্রিত, তাঁরাও ভেবে পাচ্ছিলেন না শেষে, যে কার বিয়েতে খেতে এসে, অন্য কার বিয়েতে খেয়ে গেলেন তাঁরা! এদিকে, ছাদনাতলা ঘিরে ধুন্ধুমার। বিয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে কনের বোন জানিয়ে দেন যে, যদি তাঁর বোনের হবু বরের সঙ্গে তাঁর বিয়ে না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। ব্যাস! বাড়িতে শোরগোল পড়ে গেল। এদিকে, কনের বোন পুতুলের কাছ থেকে এই ফোন আসে বরের কাছে। তিনি জানান বাড়ির লোকজনকে। ততক্ষণে কনে রিঙ্কুর সঙ্গে বর রাজেশের মালাবাদল হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় ঘটে যায় কেলেঙ্কারি কাণ্ড! বিয়ে মাঝ রাস্তায় থামিয়ে দেন বর রাজেশ। পরিস্থিতি ততক্ষণে কোনও ফিল্মের প্লটের চেয়ে কম টানটান ছিল না! এমন সময় দুই পরিবারের সামনে আরও এক বোমা ফাটিয়ে দিলেন বর রাজেশ। তিনি জানান, তাঁর হবু শ্যালিকা পুতুলকে তিনিও ভালোবাসেন। দু'জনের মধ্যে রয়েছে প্রেমের সম্পর্ক। মুহূর্তে যেন দুই পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে! যাঁরা সিদ্ধান্ত, পরিণীতি অভিনীত ‘হাসি তো ফাসি’ ফিল্মটি দেখেছেন, তাঁরা হয়তো পরিস্থিতি কল্পনা করে নিতে পারবেন! এদিকে আসা যাক বাস্তবের মাটিতে। ততক্ষণে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া, অশান্তি, কার্যত আরও চরম পর্যায়ে যেতে শুরু করে।
ছাপরার রাজেশ কুমারের সঙ্গে পুতুলের এই প্রেমপর্বের মীমাংসার ঘটনায় শেষমেশ বিয়ে বাড়িতে আসে পুলিশ। কারণ তার আগে পরিস্থিতি গরম হতে থাকায়, বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিতরাই পুলিশ ডাকেন। স্থানীয় মাঞ্ঝি পুলিস স্টেশন থেকে যান কর্তারা। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে সকলের সামনে বসে রাজেশ ও পুতুল কথা বলেন। রাজেশ জানান, রিঙ্কুর সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই তিনি পুতুলকে চেনেন। শেষমেশ পুতুলকে বিয়ে করেন রাজেশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup