বিয়ে ভাঙার জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হল বরের ভাইকে। বদলা নিতে বরের ভাইয়ের গোঁফ কেটে দিল পাত্রীপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের কারাউলি জেলায়। এমন ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে পাত্রীপক্ষের সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: প্রপোজের দু’দিন পরই ‘নকল বিয়ে’! প্রেমিক স্বামীর অধিকার চাইতেই ফাঁপড়ে তরুণী
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাগদান বাতিলকে কেন্দ্র করে ঝামেলা সূত্রপাত হয়। বরের দিদির পাত্রী পছন্দ না হওয়ায় বিয়েতে অমত জানান। তখন বাগদানের ঠিক আগের মুহূর্তেই বরের দাদা বিয়ে বাতিল করে দেন। এদিকে, বাগদানকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ফলে বাদদান বাতিল হতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পাত্রীপক্ষ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল অশান্তি, বাকবিতণ্ডা হয়। এর ফাঁকেই পাত্রের ভাইকে আটকে রাখেন পাত্রীর আত্মীয়রা। তখন কনের পরিবার জোর করে বরের দাদার গোঁফ কেটে দেয়।
সেই ঘটনার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন অনেকেই। পরে সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিয়োতে দেখা যায়, অনেক লোকজন রয়েছেন। আর সেখানেই বরের দাদার গোঁফ কেটে ফেলা হচ্ছে। এর তীব্র সমালোচনা করেন নেটিজেনরা। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর বরও একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। তিনি সেখানে দাবি করেছেন, তাদের বাগদান বাতিল করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। তিনি কনের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে জানান, তাদের কনের যে ছবি দেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে কোনও মিল ছিল না। তা দেখেই বাগদানের পর্বটি পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতে রাজিও হননি কেউ, আবার বাতিলও করেননি। বরের পরিবার, বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার জন্য কিছু সময় চেয়েছিল। বর আরও দাবি করেছেন, যে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে বাতিল করেননি। তাদের শুধু কিছু সময় চেয়েছিল।
বর ভিডিয়োতে দাবি করেছেন, যে তিনি এবং তার পরিবার অপ্রয়োজনীয় চাপ এবং অপমানের সম্মুখীন হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত বরের পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। বরের আরও দাবি, তাদের ওপর টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। যদিও ঘটনা এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে অভিযোগ দায়ের হলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।