ধুমধাম করে আয়োজন করা হয়েছিল বিয়ের। বর এবং কনের পরিবার দু'পক্ষই আত্মীয় স্বজনদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিয়েতে। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে বিয়ে বাতিল করে দিলেন বরের বাবা। আসলে বিয়ের ঠিক আগেই কনের একটি অশ্লীল ভিডিয়ো ফোনে পেয়েছিলেন তিনি। সেই ভিডিয়ো পাওয়া মাত্রই অনুষ্ঠানের একদিন আগে বিয়ে বাতিল করে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের সিকারে। বিয়ে বন্ধ হওয়ার পর কনের দাদা রাজস্থানের চুরু জেলার কোতোয়ালি থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। পরে সেটি লিম্বায়াত থানায় স্থানান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন: পাত্রপক্ষ ফটোগ্রাফার না আনায় বিয়ে ভেঙে উঠে গেলেন কনে
জানা গিয়েছে, বরের বাবা কনের যে ভিডিয়ো পেয়েছিলেন তাতে তরুণীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। ১০ নভেম্বর রাজস্থানের সিকারে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে ভিডিয়োটি পাওয়ার পরে কনের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিয়ে ভেঙে দেয় বরের পরিবার। আসলে সুরাটের এক যুবকের সঙ্গে কনেকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল ভিডিয়োতে। এই ঘটনার পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। তাতে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কনের পরিবার। তখন তারা মেয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি সবকিছু খুলে বলেন পরিবারের সদস্যদের। মেয়েটির দাবি, তিনি স্বেচ্ছায় কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হননি। আসলে ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করেছিল। তারা একই কলেজে পড়াশোনা করত। অভিযুক্ত যুবকের নাম জিশান। সে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করে।
তরুণী জানান, তার সম্মতি ছাড়াই ছবি তোলা হয়েছিল। তিনি জানান, তাদের দেখা হওয়ার পরে জিশান তার পিছনে উঠেপড়ে লাগে। তাঁর অনুমতি ছাড়াই তার ছবি তোলে এছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। এফআইআর অনুযায়ী, অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগী দুজনেই মূলত চুরুর বাসিন্দা। তবে সুরাটে থাকেন। জিশান এই ছবিগুলি ব্যবহার করে তাকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে এবং হুমকি দিয়েছিল যে তিনি যদি তার সাথে হোটেলে না যান তবে সেগুলি তার পরিবারের কাছে দেখানো হবে।
এরপর তাকে সুরাটের হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। সেই সময় গোপনে ভিডিয়ো রেকর্ড করে বলে অভিযোগ। সে এমনকী ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ। জিশান তাকে হুমকি দিয়ে বলেছিল অন্য কাউকে তিনি বিয়ে করতে পারবেন না। মেয়েটির অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হওয়ার কারণে জিশান ভিডিয়োগুলি তাদের পাঠিয়েছিল। ১১ নভেম্বরের জন্য বিবাহের দিন ধার্য ছিল। তবে ভিডিয়োগুলি পাওয়া মাত্র বেজায় চটে যান বরের বাবা। এরপরেই বিয়ে বাতিল করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জিশান এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।