শারীরিক স্পর্শ ছাড়া কোনও নাবালিকার বুকে চাপ দেওয়ার ঘটনাকে পকসো আইনের আওতায় যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। একটি মামলায় এমনই জানাল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ।
গত ১৯ জানুয়ারি একটি রায়ে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্প গানেদিওয়ালা জানিযেছেন, ‘যৌন অভিপ্রায় নিয়ে সরাসরি শরীরে স্পর্শ’ করা হলে তবেই তা যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। নিম্ন আদালতের রায় সংশোধন করেছেন বিচারপতি গানেদিওয়ালা। ২ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ৩৯ বছরের এক ব্যক্তিকে পকসো আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় আওতায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সঙ্গে ৫০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল। অনাদায়ে আর এক মাসের জেলের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত।
তবে বম্বে হাইকোর্টে জানিয়েছে, যৌন অভিপ্রায়ে কোনও শারীরিক স্পর্শ না হওয়ায় সেই ঘটনাকে পকসো আইনের আওতায় ধরা যাবে না। ওই ব্যক্তি নাবালিকার বুকে চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, নাবালিকার টপ খোলা হয়েছিল কিনা বা টপের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে নাবালিকার বুকে স্পর্শ করেছিল কিনা, সেই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া ওই নাবালিকার বুকে চাপ দেওয়ার ঘটনাকে যৌন নির্যাতনের আওতায় বিবেচনা করা যাবে না। বিচারপতি জানিয়েছেন, পকসো আইনের আওতায় যে কঠোর শাস্তির বিধান আছে, তার জন্য আরও প্রমাণ এবং গুরুতর অভিযোগের প্রয়োজন ছিল। রায়ে আরও জানানো হয়েছে, যৌন নিযার্তনে যে ‘শারীরিক স্পর্শ’-এর কথা বলা হয়েছে, তা অবশ্যই সরাসরি হতে হবে।
তবে বেঞ্চ জানিয়েছে, জামাকাপড় না খুলে যেহেতু ওই ব্যক্তি নাবালিকার বুকে চাপ দিয়েছিল, তাই সেটি যৌন নির্যাতন হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। বরং তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় দণ্ডিত করা হযেছে। সেইমতো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে হাইকোর্ট। সঙ্গে ৫০০ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও একমাসের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।