গ্রুপ ডি-তে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে আজ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে আজ মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার হবে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৯১১ জন অযোগ্য প্রার্থীর চাকরি বাতিল হয়েছিল। পাশাপাশি এই চাকরিপ্রার্থীদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই আবহে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরি হারানো অনেকে। সেই আর্জির প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এই আবহে নিয়োগপ্রক্রিয়াও আটকে যায় যোগ্য প্রার্থীদের।
এদিকে এই মামলাতেও চাকরি হারানো কর্মপ্রার্থীরা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই সাক্ষাৎকারের জেরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুন্তল ঘোষের মামলাটি সরিয়ে দেওয়া হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। এই আবহে এই মামলাতে সাক্ষাৎকার ইস্যুটি কী প্রভাব ফেলে সেদিকে নজর সবার। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গ্ৰুপ ডি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তদন্তে সিবিআই জানায়, ২,৮২৩ জন পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটে কারচুপি করা হয়েছে। এসএসসি এরপর জানায়, এই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ১৯১১ জনকে চাকরির সুপারিশপত্র দেওয়া হয়। তাঁরা এখন চাকরি করছেন। বোঝা যায়, তাঁরা বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি যায় এই ১৯১১ জনের। পাশাপাশি এই ১৯১১টি শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজন শীর্ষ আদালতে যান। তবে আবেদনের প্রেক্ষিতে শূন্যপদে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই আবহে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপ্রক্রিয়া ফের থমকে যায়। এদিকে এই মামলা পিছিয়ে যাওয়াতে হতাশ হলেন চাকরিপ্রার্থীরা।