জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ঘিরে পারদ চড়ছিলই। কৌতূহলের মাত্রাও কিছু কম ছিল না। তারই মাঝে করের হার নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবার নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত উঠে এল।
এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের সঙ্গে রাজ্যগলির তরফে অর্থমন্ত্রীরা হাজির ছিলেন। সেখানেই জিএসটি-রেজিস্টার্ড ব্যবসাগুলিকে নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করদাতাদের নিয়ে কর ফাঁকি সংক্রান্ত বিষয়টিও আলোচনায় আসে। তবে এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় হল জিএসটি বিষয়ক ক্ষতিপূরণ। যা বুধবারের আলোচনায় উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও ঘোড় দৌড়, ক্যাসিনো, অনলাইন গেমিংয়ে ২৮ শতাংশ জিএসটির প্রশ্নও এখানে উঠতে শুরু করছে। তবে মঙ্গলবারের বৈঠকে কর ছাড় নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। এছাড়াও কর ফাঁকি রুখতে উচ্চ করদাতাদের ইলেকট্রিক বিল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বিল নিয়ে রেসিস্ট্রেশনের কথাও বলা হয়েছে বৈঠকে।
চোখের নিমেষে বন্যার গ্রাসে ভেঙে পড়ল বাড়ি! অসমে আতঙ্কের ছবি
এই বৈঠকে মন্ত্রিগোষ্ঠী প্রস্তাব রেখেছে, জিএসটি ছাড় দেওয়া হোক একাধিক পরিষেবা ক্ষেত্র থেকে। এরমধ্যে হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে প্রতি দিনের নিরিখে ভাড়া ১০০০ টাকার নিচে হলে, সেক্ষেত্রে জিএসটি ছাড়ের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে রোগীদের রুমের ভাড়ার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ জিএসটি লেভির প্রসঙ্গ রাখা হয়েছে কাউন্সিলের সামনে। উল্লেখ্য, এই অঙ্ক সেই সমস্ত ক্ষেত্রের নিরিখে করার কথা বলা হয়েছে, যেখানে হাসপাতালে প্রতিদিনের রুম চার্জ ৫০০০ টাকা বা তার বেশি। এছাড়াও পোস্ট কার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, বা ১০ গ্রামের কমের ওজনের খাম করের আওতায় রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও ২ লাখের উপর সোনা আন্তঃরাজ্যে নিয়ে গেলেই লাগতে পারে ই ওয়ে বিল। একথাও বলা হয়েছে।