ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ ইনটেলিজেন্স খতিয়ে দেখেছে ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৫৭,০০০ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এজন্য ৬০০০ ভুয়ো ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট দাখিল করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে এইসব ঘটনায় ৫০০ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রক তাদের বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।
সেই ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডিজিজিআই গোটা দেশ জুড়ে এনিয়ে অভিযানে নামে। কোন চক্র এই ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হয়। এরপর দেখা যায় একাধিক অসাধু চক্র এর পেছনে কাজ করছে।
ডিজিজিআই এনিয়ে বিশেষ অভিযানে নামে। দেখা যায় বিভিন্ন ভাবে এই জিএসটি ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। এজন্য ভুয়ো আইটিসি দাখিল করা হয়েছে।
বিভিন্ন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য খতিয়ে দেখে তারা দেখে যে এই সব চক্রগুলি মূলত লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি আদায় করে নেয়। এরপর সেই নথি দেখিয়ে তারা শেল কোম্পানি খোলে। আর সেই শেল কোম্পানির আড়ালে চলে জিএসটি ফাঁকির কারবার।
তবে কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় এই কেওয়াইসি নেওয়ার বিনিময়ে সামান্য কিছু অর্থ ওই ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে এরকম ১০৪০টি ভুয়ো আইটিসি মিলেছে। সব মিলিয়ে ১৪,০০০ কোটি টাকার অবৈধ কারবার। আর এই ঘটনায় ৯১জন অভিযুক্ত প্রতারককে আটক করা হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এই ভুয়ো নথিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কোথায় কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে সেই সংক্রান্ত তথ্য় মিলেছে। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে সব মিলিয়ে ১.৩৬ লাখ কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকির নজির সামনে এসেছে।