ভুয়ো জিএসটি ইনভয়েস জমা দেওয়ার কাণ্ডে দেশজুড়ে ধরপাকড় চলছে। এখনও পর্যন্ত ১০ দিন অভিযান চালিয়ে তিনজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট-সহ মোট ৫৯ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইন্টেলিজেন্স (ডিজিজিআই)। বুধবার কলকাতা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ভুয়ো জিএসটি ইনভয়েস দুর্নীতির মূল চাঁই হল মিতেশ এম শাহ। তাকেও গ্রেফতার করেছে ডিজিজিআই। বিভিন্ন পরিষেবা বা পণ্যের ভুয়ো ইনভয়েসের ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট হাতিয়ে নেওয়ার জন্য গুজরাতের ভদোদরায় ১১৫ টি ভুয়ো সংস্থা তৈরি করেছিল। সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমে মিতেশ ৫০.২৪ কোটির ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট হাতিয়েছিল। একইসঙ্গে এক মহিলা চাঁইকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ডিজিজিআই সূত্রে খবর।
সেই দুর্নীতিতে এখনও পর্যন্ত ৭৯৩ টি মামলা রুজু করেছে ডিজিজিআই। ২,৮০২ টি সংস্থা চিহ্নিত করা হয়েছে। তিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ‘ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অফ ইন্ডিয়া’-কে চিঠি পাঠিয়েছে ডিজিজিআই। তিনজনকে হায়দরাবাদ এবং লুধিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতা, শিলিগুড়ি, ভদোদরা, সুরাত, উনা, রাজকোট, পাটনা, রাঁচি, গুয়াহাটি, ভোপাল, মীরাট, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, হায়দরাবাদ-সহ ৩২ টি শহরে তল্লাশি এবং সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেই তল্লাশিতে কেন্দ্রীয় জিএসটি কমিশনারেট এবং ডিজিজিআই ১৭৭.৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। বুধবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চারজনকে গ্রেফতার করেছে ডিজিজিআইয়ের আমদাবাদ শাখা। পাশাপাশি পার্থ জৈন এবং রঞ্জন কুমার সাহাকে যথাক্রমে বেঙ্গালুরু এবং কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিজিজিআইয়ের ধারণা, দুর্নীতিতে আরও অনেকে জড়িত আছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।