এক ব্যক্তিকে বছর ছয়েক আগে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়েই মামলা। তার জেরে গ্রেফতারও করা হয়েছিল দুজনকে। এদিকে মামলা চলাকালীন গুজরাতের আদালত জানতে পারে ওই ব্যক্তি বেঁচে রয়েছেন। এরপরই ধৃত দুজনকে যাবতীয় অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সেশন জাজ সরঙ্গ ব্যাস গত ৩০শে মার্চ একটি নির্দেশ জারি করে জানিয়েছেন, এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক তথা নভসারি থানার তৎকালীন ইনস্পেক্টর অভিযুক্ত দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তদন্তের ক্ষেত্রে একেবারে ছেলে খেলা করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের।
এদিকে ২০১৬ সালের ৬ই জুলাই নাগুলাল গয়ারি নামে এক ব্যক্তি খুন হয় বলে পরিবারের দাবি। এদিকে সেই সময় যে দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তা ওই ব্যক্তির নয় বলে বর্তমানে জানা গিয়েছে। তবে তার আগেই মদন পিপলাড়ি ও সুরেশ বাতেলা নামে দুই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। জামিনে মুক্ত হওয়ার আগে তাদেরকে তিন মাস জেলও খাটতে হয়েছিল।
এদিকে নাগুলালের দেহ বলে অপর একটি দেহকে সৎকার করে ফেলেছিলেন পরিবারের লোকজন। তবে কয়েকঘণ্টার মধ্যে ভুল বুঝতে পেরে তা পুলিশকেও জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেসবে পাত্তা দেয়নি পুলিশ। উলটে ওই দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়ে দেয়। কিন্তু আদালতে অভিযুক্তদের আইনজীবী জানিয়ে দেন মৃত বলে যাকে দাবি করা হচ্ছে তিনি বেঁচে আছেন। তার পরিবারই একথা জানিয়েছে। এরপরই পুলিশ যে মিথ্যা চার্জশিট জমা দিয়েছে তা পরিষ্কার হয়ে যায়।