ক্রিকেটের মাঠে ব্যাট, বলের লড়াই আচমকাই জীবনযুদ্ধে পরিণত হল গুজরাটে। ক্রিকেট খেলতে নেমে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল গুজরাটের পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি দফতরের কর্মী বসন্ত রাঠৌরের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৪ বছর। প্রসঙ্গত, গত ১০-১২ দিনে গুজরাটে ক্রিকেট মাঠে এই নিয়ে মৃত্যু হল মোট তিনজনের। জানা গিয়েছে, বসন্ত রাঠৌর বল করতে গিয়ে আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বুক চেপে লুটিয়ে পড়েন মাটিতে। এরপর আর তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মাঠ থেকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বসন্তকে। হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। (আরও পড়ুন: 'ভগবান আপনাদের মন দিয়েছেন', উত্তরপ্রদেশে পুলিশকে সংবেদনশীল হওয়ার বার্তা মোদীর)
জানা গিয়েছে, আমদাবাদের কাছে একটি ডেন্টাল কলেজের মাঠে স্থানীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার একটি ম্যাচ খেলছিলেন বসন্ত। বল করার সময় কিছুটা অস্বস্তি বোধ করেন বসন্ত। বুকে ব্যথা শুরু হলে তিনি সতীর্থদের বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ডেন্টাল হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়। বসন্তের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকলে তাঁকে সেখান থেকে স্থানীয় সোলা সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বসন্তকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। তবে শেষ পর্যন্ত আর চিকিৎসায় সাড়া দেননি বসন্ত। মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মৃত সরকারি কর্মী বস্ত্রপুরের বাসিন্দা। তাঁর এক স্ত্রী রয়েছেন।
বসন্তের সতীর্থরা দাবি করেন, বসন্ত সুস্থ সবল ছিলেন। জিএসটি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, 'আমরা ফিল্ডিং করাক সময় হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করে বসন্ত। আমরা ওঁর জন্য কিছু করতে পারলাম না। ওঁ খুব চনমনে ছিল। বসন্ত বোলিং করছিল। ও ক্রিজের সামনে গিয়ে আচমকাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ওঁর সতীর্থরা তখন সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তুলে নিয়ে হাসপাতালে যায়।' বসন্ত গুজরাট জিএসটি দফতরের হেড অফিসের ইউনিট ১৪-তে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি সিনিয়র ক্লার্ক পদে নিযুক্ত ছিলেন সেখানে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আরও দুই ক্রিকেটারের মৃত্যু হয়েছে গুজরাটের মাঠে। রাজকোটের বাসিন্দা প্রশান্ত ভারোলিয়া (বয়স ২৭ বছর) এবং সুরাটের বাসিন্দা জিগ্নেশ চৌহান (বয়স ৩১ বছর) সম্প্রতি ক্রিকেট মাঠেই ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। এভাবে পরপর ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়দের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে শোকের ছায়া নেমেছে গুজরাটের ক্রীড়া মহলে।