গুজরাট হাইকোর্ট সোমবার মৌরবি সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করল। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনকে নোটিশ জারি করেছে উচ্চ আদালত। আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্টও চেয়েছে হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, ব্রিটিশ জমানার ব্রিজটি গত ৩০ অক্টোবর ভেঙে পড়েছিল। এর জেরে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিল শতাধিক। দুর্ঘটনার দুই দিন পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছিল জনসাধারণের জন্য। এর আগে গত ৭ মাস ধরে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেতুটি বন্ধ ছিল। ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ওরেভা এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। ঘটনার পর ওরেভার ম্যানেজার সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে আদালত তাদের দেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে ওরেভা গ্রুপ দাবি করেছে যে মৌরবি সেতুর মেরামতের কাজের জন্য তারা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেয়। সেতু রক্ষণাবেক্ষণে ব্যবহৃত উপাদানগুলি ‘বিশেষ সংস্থা’র পরামর্শ অনুসারে তৈরি করা হয়েছিল।
এই আবহে এবার গুজরাট হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি আশুতোষ শাস্ত্রীর একটি ডিভিশন বেঞ্চ অ্যাডভোকেট জেনারেলের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা মৌরবি ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আদালত ছুটি ছিল। নয়ত, ঘটনার দিনই আমরা এই মামলাটি নিয়ে বসতাম।’ মুখ্য সচিব, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর, মৌরবি পৌরসভার কমিশনার, মৌরবি পৌরসভা, জেলা কালেক্টর এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে নোটিশ জারি করেছে উচ্চ আদালত। ১৪ নভেম্বর বিষয়টি পুনরায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে আদালতের শুনানির জন্য। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকেও ১৪ নভেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।