প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে এবার ধরা পড়ল বড় মেডিক্যাল সিন্ডিকেট। যা নিয়ে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে গুজরাট। পুলিশ ইতিমধ্যেই ১৪ জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে। সুরাট থেকে এই গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা একটা বড় গ্যাং। যারা মেডিক্যাল সিন্ডিকেট চালায়। আর তার জেরে রোগীদের বেঘোরে মরতে হয়। এই গ্যাং ১২০০ ভুয়ো ডিগ্রি পর্যন্ত দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই গ্যাং এবং সিন্ডিকেটের মূল অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ।
এই একটি ভুয়ো ডিগ্রি দিতে ৭০ হাজার টাকা করে নিত গ্যাংয়ের সদস্যরা। আর সেই ভুয়ো ডিগ্রির প্রেক্ষিতে তারা নানা হাসপাতাল নার্সিংহোমে চাকরি পেয়ে যেত। এভাবেই মেডিক্যাল সিন্ডিকেটের গ্যাং কাজ করত গুজরাটে। এমন ভুয়ো ১৪ জন চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অপরাধের মূল অভিযুক্ত রমেশ গুজরাটিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মূল অভিযুক্তই ভুয়ো ডাক্তারি ডিগ্রি দিত। যার উপর সিলমোহর থাকত ‘বোর্ড অফ ইলেক্ট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন গুজরাট’। আবেদন, শংসাপত্র এবং স্ট্যাম্প বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘আওয়ামি লিগকে পুর্নবাসনের জন্য দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে’, নুরুল হকের বড় দাবি
এই সব দিয়েই ভুয়ো ডিগ্রি তৈরি করা হতো। আর তা বিপুল টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হতো ভুয়ো চিকিৎসকের ডিগ্রি। যা দেখিয়ে চাকরি পেত ভুয়ো চিকিৎসকরা হাসপাতালে, নার্সিংহোমে। এমন আরও কত ভুয়ো চিকিৎসক আছে সেটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। সংবাদমাধ্যমে এনডিটিভি’র রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশ খবর পেয়েছিল তিনজন ভুয়ো চিকিৎসকের ডিগ্রি নিয়ে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করে চলেছে। তখন এই তিনজনের ক্লিনিকে হানা দেয় রাজস্ব দফতর এবং পুলিশ। তারপর দফায় দফায় জেরা করতেই বেরিয়ে এল ভুয়ো ডিগ্রি।
এরপরই নামা হয় মূল অভিযুক্তকে ধরতে। পুলিশ তদন্তে নেমে এমন ১৪ জন ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পুলিশ পৌঁছে যায় মূল অভিযুক্ত রমেশ গুজরাটির কাছে। তখন পুলিশ জানতে পারে ইলেক্ট্রো হোমিওপ্যাথিতে ভারতে কোনও নিয়ম নেই। এটা জেনে নিয়েই ওই রমেশ গুজরাটি পরিকল্পনা করে ভুয়ো ডিগ্রি দেওয়ার। তারপর পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে ইলেক্ট্রো হোমিওপ্যাথির প্রশিক্ষণ দেয়। তিন বছরের কম সময়ে প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হয়ে যায়। তারপর শুরু হয় চিকিৎসা। এই ভুয়ো চিকিৎসকরা বুঝতে পারে মানুষ বিষয়টি ধরে ফেলছে। তখন পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। আর ডিগ্রি দেওয়া হয় গুজরাট আয়ূষ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। যার অধীনে দেখানো হয়, ‘বোর্ড অফ ইলেক্ট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন গুজরাট’কে। টাকা দিলেই ১৫ দিনের মধ্যে মিলত ভুয়ো চিকিৎসক ডিগ্রি।