মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় তরুণী এবং তাঁর বাবাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গেছে, ভার্জিনিয়ায় এক আত্মীয়ের ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কাজ করতেন গুজরাটের বাসিন্দা ঊর্মি প্যাটেল (২৪) এবং তাঁর বাবা প্রদীপ প্যাটেল (৫৬)। ছ’বছর আগে গুজরাট থেকে তাঁরা ভার্জিনিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হাসিনা বিরোধী ঢেউয়ের বিষয়ে আগে থেকে অবগত ছিল ভারত, বললেন জয়শংকর)
সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে বাবা-মায়ের দোকানে ঢুকে গুলি চালিয়ে দেন এক ব্যক্তি। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর কন্যার। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ভার্জিনিয়ার অ্যাকোম্যাক কাউন্টিতে দোকান ছিল প্যাটেলদের। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে মদ দিনতে যান জর্জ ফ্রেজিয়ার ডেভন হোয়ারটন নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ, দোকানে ঢুকেই হম্বিতম্বি শুরু করেন তিনি। কেন আগের রাতে দোকান বন্ধ রাখা হয়েছিল, তা নিয়ে বাবা এবং মেয়ের সঙ্গে যুবকের বচসা শুরু হয়। এরপর আচমকা গুলি চালিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি। ইতিমধ্যে ৪৪ বছর বয়সি ব্যক্তিকে জোড়া খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে ভার্জিনিয়ার পুলিশ। আইন অনুসারে তাঁর বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত উপযুক্ত ধারাগুলি যুক্ত করা হয়েছে। কেন তিনি এই খুন করলেন, প্যাটেল পরিবারের সঙ্গে আগে থেকে তাঁর কোনও যোগ ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: আওয়ামি লিগকে ফেরাতে গোপন বৈঠক ক্যান্টনমেন্টে? বিতর্কে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা)
অন্যদিকে, ভার্জিনিয়ার এই ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে সাড়া ফেলে দিয়েছে। কয়েক মাস আগে আরও এক ভারতীয় এভাবে খুন হয়েছিলেন। উত্তর ক্যারোলিনায় একটি দোকানে ডাকাতির সময়ে গুলি করা হয় ৩৬ বছরের মৈনাক প্যাটেলকে। প্রায় একই ধাঁচে ভার্জিনিয়াতেও মৃত্যু হল দু’জনের। যার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন প্রবাসী ভারতীয় সম্প্রদায়।
আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত, পরপর গুলি আরাকান আর্মির, গুলিবিদ্ধ ২
জানা গেছে, গুজরাটের মেহসানা জেলার বাসিন্দা প্রদীপ, তাঁর স্ত্রী হাসনাবেন এবং কন্যা ঊর্মি। ২০১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে আত্মীয় পরেশ প্যাটেলের দোকানে কাজ করতেন। ভার্জিনিয়া থেকে পরেশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার এক ভাইয়ের স্ত্রী এবং তাঁর বাবা দোকানে কাজ করছিলেন। একজন এসে হঠাৎ গুলি চালিয়ে দিয়েছে। কেন, কী কারণ, কিছু জানি না। কী করব, বুঝতেও পারছি না।’ প্রৌঢ়ের আরও দুই কন্যা আছেন। তাঁদের একজন কানাডা এবং একজন আহমেদাবাদে থাকেন বলে জানিয়েছেন পরেশ।প্রদীপের কাকা চান্দু প্যাটেল জানিয়েছেন, ২০ মার্চ ভোর ৫টায় দোকান খুলতেই এক ব্যক্তি ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে। এ ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পুলিশ নিহতদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য চেষ্টা করছে।