জিএসটি দুর্নীতি মামলায় এক বর্ষীয়ান সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হল। ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ জিএসটি ইনটেলিজেন্সের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৩টি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার পরদিনই গুজরাটে সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর অ্যাসিসট্যান্ট এডিটর মহেশ লাঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে আমদাবাদের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ। সেইসঙ্গে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের (ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ) ডেপুটি কমিশনার অজিত রাজিয়ান দাবি করেছেন, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পরে মঙ্গলবার সকালে বর্ষীয়ান সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হিসাব-বহির্ভূত ২০ লাখ টাকা, সোনা এবং জমি সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি।
FIR-এ মহেশের ভাইয়ের নাম ছিল
অথচ এফআইআরে বর্ষীয়ান সাংবাদিকের নামই ছিল না। যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তাতে আমদাবাদের সংস্থা ডিএ এন্টারপ্রাইজের অন্যতম মালিক হিসেবে তাঁর ভাই মনোজকুমারের (নিজের ভাই নয়) নাম ছিল। যে সংস্থায় বর্ষীয়ান সাংবাদিকের স্ত্রী সহযোগী ছিলেন বলে এফআইআরে দাবি করা হয়েছে। যদিও মহেশের স্ত্রী এবং তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করা হয়নি।
কিছু জানতেন না স্ত্রী, দাবি পুলিশের
সেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আমদাবাদ সিটির পুলিশ কমিশনার জ্ঞানেন্দর সিং মালিক দাবি করেছেন, জিএসটি দুর্নীতি মামলায় যে সংস্থাগুলি জড়িত আছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেরকম একটি কোম্পানির অধিকর্তা পদে আছেন মহেশের স্ত্রী। কিন্তু ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের আধিকারিকরা যখন জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তখন তিনি জানান যে এই সংস্থার বিষয়ে কোনও ধারণাই নেই। তাঁর নাম যে ব্যবহার করা হচ্ছে, সে বিষয়ে বিন্দু-বিসর্গ জানতেন না। তারপর মহেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জানা যায় যে তিনিই পুরো কোম্পানি চালাতেন।
আরও পড়ুন:
FIR-এ নাম নেই মানেই নিরাপরাধ নন, দাবি পুলিশের
সেইসঙ্গে আমদাবাদ সিটির পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, এফআইআরে নাম নেই বলেই যে মহেশ অভিযুক্ত নন, সেটার কোনও মানে নেই। তদন্তের সময় একটি সংস্থায় বর্ষীয়ান সাংবাদিকের যোগ আছে বলে জানা গিয়েছে। একইসুরে পুলিশের (ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ) ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, ভুয়ো নথি ব্যবহার করে মহেশের স্ত্রী এবং বাবার নামে জালি কোম্পানি তৈরি করা হয়েছিল। তাতে সন্দেহজনক লেনদেনেরও হদিশ মিলেছে। বিস্তারিত তদন্তের জন্য বর্ষীয়ান সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের তরফে দাবি করা হয়েছে, আপাতত যা অনুমান করা হচ্ছে, তাতে জিএসটি দুর্নীতির জন্য দেশজুড়ে সংগঠিতভাবে ২০০-র বেশি জালি সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল। করফাঁকি দিতে জালি নথি এবং পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেশের যাতে কোটি-কোটি টাকা লোকসান হয়, সেজন্য একটি ‘বড় গোষ্ঠী’ ষড়যন্ত্র করেছে বলে ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।