২০০২ সালে দেশে এক অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গুজারাতে। নরেন্দ্র মোদী সেই সময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। গোটা গুজরাত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আগুনে তখন জ্বলছে। দাঙ্গায় মৃত্যু হয়েছিল কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির। তাঁর স্ত্রী জাকিয়া জাফরি গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে 'ষড়যন্ত্র' এর দাবি তুলে মামলা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে দাবি করা হয় পুর্নতদন্তের। প্রশ্ন তোলা হয় গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেওয়া নিয়েও। তবে আদালত সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে তদন্ত খারিজ করে দিয়েছে। একনজরে দেখা যাক সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কিছু পর পর অধ্যায়।
ফেব্রুয়ারি ২০০২: আমেদাবাদের গুলবার্গ সোসাইটি ছিল মূলত সমাজের উত্তবিত্ত মানুষের বসবাসের স্থান। সেখানে বিশেষত মুসলিমরাই বসবাস করতেন। আচমকা সেই এলাকায় হামলা চালায় একদল মানুষ। সন্ধ্যের মধ্যে সেখানে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ৬৯ জনের। মৃত্যু হয় কংগ্রেস নেতা এহসান জাফরির।
জুন ২০০৬: এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া অভিযোগ তোলেন তাঁর FIR পুলিশ গ্রহণ করছে না। যে FIR এ তিনি অভিযোগ তোলেন মোদী ও বাকি ৬৩ জনের দিকে। এমনকি সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী ও সচিবদের নামও ছিল।
নভেম্বর ২০০৭: গুজরাত হাইকোর্ট জাকিয়া জাফরির আবেদন খারিজ করে দেয়। ফলে মামলা যায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে।
মার্চ ২০০৮-সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় গুলবার্গ সোসাইটি সহ ৯ টি ঘটনা (এই দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত) ফের তদন্ত করতে হবে। তৈরি হয় এসআইটি।
মে ২০১০- এসআইটি সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেয় যে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তার সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ নেই এই মামলায়।
২০১১- সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় জাকিয়া জাফরির অভিযোগ ফের খতিয়ে দেখা হোক। যে অভিযোগে গুলবার্গ সোসাইটিতে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।
এপ্রিল ২০১৩- জাকিয়ে জাফরি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ক্নিচিটের বিরুদ্ধে ফের মামলা করেন।
ডিসেম্বর ২০১৩- জাকিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও মামলা দাঁড় করানো যায়নি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
এপ্রিল ২০১৪-সুপ্রিম কোর্ট ক্লিনচিট নিয়ে কোনও পিটিশন নিতে চায়নি।
অক্টোবর ২০১৭- এসআইটির তরফে নরেন্দ্র মোদী সহ ৫৮ জনকে ক্লিনচিট দেওয়ার বিষয়টি বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট।