কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের নাম জড়িয়েছে তিস্তা শীতলবাদের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে। এই আবহে এবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে পালটা তোপ দাগল কংগ্রেস। কংগ্রেস মিডিয়া ইন-চার্জ একটি জয়রাম রমেশ একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন যে সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড হয়েছিল, তার দায় থেকে নিজেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিয়মতান্ত্রিক কৌশলের অংশ এটি। এই হত্যাকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে তাঁর অনাগ্রহ এবং অক্ষমতার জেরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর রাজধর্মের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন।’
কংগ্রেসের তরফে আরও বলা হয়, ‘এই এসআইটি তার রাজনৈতিক প্রভুর সুরে নাচছে এবং তাকে যা বলা হবে তাই করবে। আমরা জানি কীভাবে একজন পূর্ববর্তী এসআইটি প্রধানকে কূটনৈতিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। কারণ তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন। একজন মৃত ব্যক্তির নামে এভাবে মিথ্যাচার ছড়ানো হচ্ছে। তিনি এখন এসব খণ্ডনও করতে পারবেন না। মোদী-শাহ জুটির কৌশলের বৈশিষ্ট্য এটা।’
উল্লেখ্য, গুজরাট সরকার গঠিত বিশেষ তদন্ত দল অভিযোগ করেছে যে ২০০২ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতার থেকে টাকা নিয়েছিলেন তিস্তা শীতলবাদ। এসআইটি-র দাবি, গোধরায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পরেই সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদ রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র করেন।
হলফনামায় এসআইটি-র তরফে বলা হয়েছে, ‘দুই সাক্ষীর জবানবন্দি প্রমাণ করে যে শীতলবাদ অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। রাজ্যসভার তৎকালীন সংসদ সদস্য তথা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতির রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশে এই ষড়যন্ত্র হয়েছিল।’ উল্লেখ্য, সেই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এসআইটি দাবি করেছে যে গোধরা কাণ্ডের কয়েকদিন পরই কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিস্তা। সেই সময় তিনি ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতার থেকে। এই বৈঠকের দুই দিন পরই দু’জনে আবারও মিলিত হন। এবার বৈঠকটি হয় শাহিবাগের সরকারি সার্কিট হাউজে। সেখানেই আরও ২৫ লাখ টাকা তিস্তাকে দেন আহমেদ প্যাটেল। এই নগদ অর্থ কোনও সাহায্যার্থে ছিল না।