'মিথ্যে জেনেও বাজার গরম করার চেষ্টা করা হয়েছিল।' ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট মামলায় এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) যেভাবে তদন্ত করেছে, তার প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
শুক্রবার বিচারপতি এএম খানউইলকর, বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যেভাবে সিটের দল দারুণ কাজ করেছে, সেজন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তা সত্ত্বেও তারা কোনওরকম আঁচড় ছাড়াই দারুণভাবে কাজ করেছে।’
সেইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, মিথ্যে জেনেও বাজার গরমের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই কাজটা করেছিলেন গুজরাট সরকারের কয়েকজন আধিকারিক এবং অন্যান্যরা। বিস্তারিত তদন্তের পর সেই মিথ্যের পর্দা ফাঁস করে দিয়েছিল সিট।
গুজরাট দাঙ্গা সংক্রান্ত মোদীর ক্লিনচিট মামলা
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ উঠেছিল, তাতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদীদের ক্লিনচিট দিয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। সেই মামলা বন্ধের চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার সেই সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তিন বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, '২০২২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সিটের জমা দেওয়া চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট। সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখছি আমরা এবং মামলাকারীর (জাকিয়া) আর্জি খারিজ করছি।'
গুজরাট দাঙ্গার অন্যতম নৃশংস গুলবার্গ সোসাইটির গণহত্যায় এহসানকে খুন করা হয়েছিল। যে দাঙ্গার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে সামিল থাকার অভিযোগ উঠেছিল। পরবর্তীতে অবশ্য মোদীদের ক্লিনচিট দিয়েছিল সিট। ২০১৭ সালের অক্টোবরে বিশেষ তদন্তকারী সংস্থার চূড়ান্ত রিপোর্ট গ্রহণ করেছিল গুজরাট হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ দায়ের করেছিলেন জাকিয়া।
সেই আবেদনের ভিত্তিতে শীর্ষে আদালতে শুনানি চলে। মামলাকারীর আইনজীবী কপিল সিব্বল সওয়াল করেছিলেন, সিটের তদন্তে খামতি ছিল। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা হয়নি। যদিও শুক্রবার রায়দানের সময় শীর্ষ আদালত জানায়, জাকিয়ার পিটিশনের ভিত্তি নেই এবং সেই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার যোগ্য। তারপরই খারিজ করে দেওয়া হয় মামলা।