মৌলিক পাঠক
বড় বড় মিটিং, বিরাট সভা বিশেষ চোখে পড়ছে না। গুজরাটে কার্যত চুপি চুপি প্রচার করছে কংগ্রেস। কিন্তু তার বিশেষ প্রভাব কি পড়বে ভোটে? দলিত নেতা জিগনেশ মেভানিকে ভদগম আসন থেকে দাঁড়িয়েছেন। কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে অনলাইন ক্রাউড ফান্ডিং শুরু করেছেন। আমাদের গণতন্ত্র নামে একটি প্লাটফর্ম থেকে চলছে প্রচার ও ক্রাউড ফান্ডিং। ৪০ লাখ টাকা তুলতে চাইছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ৯ লাখ টাকা তিনি তুলেছেন। সবটাই প্রচারের জন্য় অনুদান হিসাবে নেওয়া হচ্ছে বলে কংগ্রেসের দাবি।
২০১৭ সালে তিনি নির্দল হিসাবে জিতেছিলেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, ইলেকশনের খরচের জন্য় এই অনুদান নিচ্ছি। আপনাদের কাছে সহায়তা চাইছি। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য আপনাদের কাছ থেকে সহায়তা চাইছি।
এদিকে এই আসনে তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মনিলাল ভাগেলা। এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি ও আপ একেবারে উচ্চ স্বরে প্রচার করছে। কিন্তু কংগ্রেসকে সেভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষত সৌরাষ্ট্র এলাকায় কংগ্রেস নীরবে প্রচার করছে। এদিকে ২০১৭ সালে এই অঞ্চলে ৪৮টির মধ্যে ২৭টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি প্রচার করছে কংগ্রেস। কয়েকটা মাত্র গাড়ি নিয়ে চলছে প্রচার। কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র শক্তিসিং গোহিল বলেন, এটা নয়া স্ট্র্য়াটেজি। এবার একেবারে তৃণমূল স্তরে প্রচার করছি। এটা যদি কাজ না করে তবে প্রধানমন্ত্রী কেন এতবার গুজরাটে আসছেন?
এদিকে গত ১০ অক্টোবর একটি সভাতে মোদী বলেছিলেন, কংগ্রেস সাইলেন্ট ক্যাম্পেন করছে। বিজেপিকেও স্ট্যাটেজি বদলাতে হবে।