কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাংলোয় আচমকা এক নিরাপত্তা আধিকারিকের পিস্তল থেকে গুলি ছিটকে বেরিয়েছে বলে খবর। আর তার জেরে একেবারে হইহই কাণ্ড! তবে গুলিতে কেউ জখম হননি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও নিরাপদেই রয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি সরকারি বাংলোতে ছিলেন না। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে তখন মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাংলোতে একে একে সাক্ষাৎ প্রার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। ভিড় জমতে শুরু করেছে। আচমকাই গুলির শব্দ। আর তার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় সাক্ষাৎপ্রার্থীদের মধ্যে। সচকিত হয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। সেই সময় কেরল পুলিশের এক আধিকারিক নিজেই জানিয়ে দেন, তিনি পিস্তল পরিষ্কার করছিলেন। সেই সময় অসাবধানতাবশত গুলি বেরিয়ে গিয়েছিল।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই অত্যন্ত তৎপর কেরল পুলিশ। কেন এই ধরনের ঘটনা হল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই নিরাপত্তারক্ষীকে আপাতত মুখ্য়মন্ত্রীর বাসভবনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁর বিরুদ্ধে আইন মাফিক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে।
এদিকে সূত্রের খবর, মুখ্য়মন্ত্রী বাসভবন ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি থাকে। সেখানে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে হল তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে পুলিশ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে। ওই আধিকারিক তিরুঅনন্তপুরমের মিউজিয়ম থানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁকেই অনেকদিন ধরেই মুখ্য়মন্ত্রী বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখা হয়েছে।
তবে এরকম হাই সিকিউরিটি জোনে গুলি বের হওয়ার খবরে স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিকরা ইতিমধ্য়েই সব দিক খতিয়ে দেখছেন। এই গুলি ছিটকে বের হওয়ার সঙ্গে অন্য কিছুর যোগ রয়েছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষী যারা কর্মরত রয়েছেন ওই চত্বরে তাঁদেরকেও এনিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সেব্যাপারেও সতর্ক রয়েছে কেরল পুলিশ।