কাশ্মীর নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে যোগ দেবে দেবে গুপকর গোষ্ঠী। এমনটাই জানালেন গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ফারুক আবদুল্লা। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি।
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আমন্ত্রণ নিয়ে মঙ্গলবার শ্রীনগরে আবদুল্লার গুপকর রোডের বাসভবনে আলোচনায় বসেন উপত্যকার নেতানেত্রীরা। বৈঠকের পর আবদুল্লা বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পেয়েছি এবং আমরা (বৈঠকে) যোগ দেব।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, 'আপনারা সবাই আমাদের অবস্থান জানেন। তাই সেটা আবারও বলার প্রয়োজন নেই। আমাদের যা অবস্থান ছিল, তা এখনও আছে। সেটাই ববিষ্যতে থাকবে।' তবে কী বিষয়ে আলোচনা হবে, তা কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়নি বলে দাবি করেন আবদুল্লা।
সবমিলিয়ে উপত্যকার ১৪ জন রাজনৈতিক নেতানেত্রীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের আমন্ত্রণ গিয়েছে। ২০১৯ সালে ৫ অগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারার আওতায় প্রদত্ত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর প্রথমবার এরকম বৈঠক হতে চলেছে। তাতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলবেন বলে জানিয়েছেন গুপকর গোষ্ঠীর ভাইস-চেয়ারপার্সন তথা পিডিপির প্রধান মেহবুবা মুফতি। তিনি বলেন, ‘আমাদের থেকে যা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আমরা কথা বলব। আমরা জানাব যে সেটা (বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার) একটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তা অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ছিল। সেই (মর্যাদা) ফিরিয়ে না দিলে জম্মু ও কাশ্মীর পরিস্থিতি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি (স্বাভাবিক হবে না)। পুরো অঞ্চলে শান্তি স্থাপিত হবে না।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার দোহায় গিয়ে তালিবানদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে। তাহলে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারে কেন্দ্র।’
গুপকর গোষ্ঠীর সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি সভাপতি রবিন্দর রায়না বলেন, ‘কেউ ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে পারবে না। যে রাজনৈতিক দলগুলি তা ফিরিয়ে আনার কথা বলছে, তারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এবং আবেগের রাজনীতি করছে।’