উত্তরপ্রদেশের আগ্রাতে ভয়াবহ ঘটনা। একটি মাল্টি ন্য়াশানাল কর্পোরেশনে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত ছিলেন এক ব্যক্তি। হরিয়ানার গুরুগ্রামে কর্মরত ছিলেন তিনি। আর সেই ম্য়ানেজারই এবার ধরা পড়লেন বাইকে চেপে হার ছিনতাইয়ের অভিযোগে।
এদিকে আগ্রা পুলিশের কাছে চেন ছিনতাইয়ের একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছিল সম্প্রতি। কিন্তু এর পেছনে কে রয়েছে তা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছিল না। তবে অবশেষে সেই অভিযুক্ত ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করল। ধৃতের নাম অভিষেক ওঝা।
তবে মাইনে কিছু কম পেতেন না ওই ম্য়ানেজার। কিন্তু তারপরেও টাকার মোহ যেন কাটত না কিছুতেই। আসলে বিলাসবহুল জীবন যাপন করতেন তিনি। আর মাইনের টাকা দিয়ে সেই বিলাসী জীবন কাটানো সম্ভব নয়। তবে ওঝার বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধের রেকর্ডও নেই। সেই ওঝাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ।
তবে গ্রেফতারের পরে ওই ম্যানেজার অবশ্য় তার অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে খবর। আসলে তার বিলাসী জীবনের টাকা জোগাড়ের জন্য় সে এমন অপরাধের অন্ধগলিতে নেমে পড়েছিল।
সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি ওয়ার্ক ফ্রম হোম মোডে কাজ করতেন। এদিকে অফিস যেতে হত না তাকে। হাতে প্রচুর সময়। বাইকে চেপে ঘুরপাক খেতেন তিনি। এরপরই ছিনতাইয়ের কাজে নেমে পড়েন। বাইকে চেপে যাওয়ার সময়ই মহিলাদের হার ছিনতাই করে দ্রুত পালানোর কায়দা রপ্ত করে ফেলেছিল। আর ছিনতাই করে যে সোনার হার সে পেত সেটা জুয়েলারি দোকানের মালিক সোনু ভার্মার কাছে বিক্রি করে দিত। এই করে মোটা টাকা আয় করছিল সে। কিন্তু পুলিশের কাছে ক্রমেই এই ছিনতাইয়ের অভিযোগ আসতে শুরু করে। এরপরই পুলিশ বিভিন্ন জায়গা থেকে খোঁজখবর শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ওঝাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ তার কাছ থেকে বাইক, ছিনতাই করা সোনার একাধিক হার, একটি তাজা গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। এদিকে ওই যুবকের বাবা পঞ্জাবে একটি ভালো কোম্পানিতে কাজ করেন। নিউ আগ্রা পুলিশ স্টেশনে তার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে একাধিক ছিনতাইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে মোটা মাইনে পাওয়া সত্ত্বেও তিনি কেন সোনার চেন ছিনতাই করতেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে সূত্রের খবর, আসলে বিলাসী জীবনের টাকা জোগাড়ের জন্য সে এই ছিনতাই শুরু করে দিয়েছিল।