একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অভিজাত আবাসনের ২০০ জনেরও বেশি বাসিন্দা। হরিয়ানার গুরুগ্রামের ওই আবাসনে সম্ভবত সংক্রামিত জলের কারণে এই পরিস্থিতি। চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার থেকেই হঠাত্ বমি, ফোলাভাব, জ্বর এবং ডায়রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আবাসনের বাসিন্দারা। গুরুগ্রামের সেক্টর 72-এর এই ঘটনায় চিন্তায় স্থানীয় প্রশাসন।
স্পেজ প্রিভি সোসাইটি নামক ওই আবাসনে প্রায় ২,০০০ জন বাস করেন। মোট অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা প্রায় ৬০০টি।
গুরুগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগ মঙ্গলবার আবাসনে এসে পৌঁছয়। সেখানেই তারা একটি আপদকালীন ওপিডি স্থাপন করে। ইউপিএইচসি ফাজিলপুরের মেডিকেল টিম একটি মেডিকেল হেলথ চেকআপ ক্যাম্পের আয়োজন করে। তার মাধ্যমে প্রায় ৮০ জনকে পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৬০ জনকে বমি এবং ডায়রিয়ার জন্য চিকিত্সা করা হয়।
আবাসনের ক্লাব হাউজেই বসে যান স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল। তাঁরা আবাসিকদের ওআরএস, প্রয়োজনীয় ওষুধ দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ টিম আবাসনের জলের নমুনা সংগ্রহ করেছে। সেটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আপাতত রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন সকলে। সেটি পেলেই জল থেকে এমন অবস্থা কিনা, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জলের বিষয়ে যা অবশ্যই মাথায় রাখবেন:
১. কোনও বিশ্বস্ত সংস্থার আধুনিক ফিল্টারের জল-ই পান করবেন। ইউভি স্টেরিলাইজেশন, ফিল্টার কিট বদলানোর বিষয়ে সজাগ থাকুন। সেগুলি যেন পুরনো হয়ে অকেজো না হয়ে যায়। রান্নাতেও এই জল ব্যবহার করুন।
২. রিজার্ভার, জলের ট্যাঙ্ক সাফ রাখবেন। তাতে যেন রোজ জল বদল হয়। ট্যাঙ্কের ঢাকনা যেন নিশ্ছিদ্র হয়।
৩. বাড়ির ফিল্টার খারাপ হলে, কলের জল ১০ মিনিট ধরে প্রবল ফুটিয়ে, সেটি ঠান্ডা করে তবেই খান।
৪. কমদামের জলের ড্রাম কেনার বিষয়ে সাবধান। কোথা থেকে সেই জল আসছে, নিয়ম মেনে জল পরিশোধন হয় কিনা তা নিশ্চিত করুন।