পেটের দায়ে চাকরি শুরু করেছিলেন ১৪ বছর বয়সি এক নাবালিকা। তবে সেই চাকরি করতে গিয়েই বিপাকে পড়ে সে। অভিযোগ, স্পা-এর রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন ধর্ষণ করত তাকে। এই ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে গুরুগ্রাম সেক্টর ৫১-এর মহিলা থানায় স্পা অপারেটর, একজন মহিলা সহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়।
নির্যাতিতা দাবি করে, পুলিশের কাছে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অভিযোগ দায়ের করতে আসে। তার দাবি, প্রথমবার যখন সে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে এসেছিল, তখন তাকে দিয়ে জোর করিয়ে মিথ্যা বলানো হয়েছিল যে রুবেল নামক এক অভিযুক্তের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগকারী এখনও তার বয়সের প্রমাণ জমা করেননি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার কাজ করা হচ্ছে। এদিকে নির্যাতিতার দাবি, সে গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৯-এ থাকে। পূজা নামক এক মহিলার সঙ্গে একদিন তার দেখা হয়েছিল নির্বাণা কোর্টইয়ার্ডে। সেখানে পূজা তাকে এক ডাক্তারখানায় চাকরি পাইয়ে দেয়। তবে দুই দিন পরই নাকি তাকে সেখানকার চারকি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এর প্রায় আরও ১৫ দিন পর সেই নির্যাতিতার সঙ্গে পূজার আবার দেখা হয়। এবার পূজা তাকে একটি স্পা-তে চাকরি করার প্রস্তাব দেয়। গুরুগ্রামের ওম্যাক্স মলের একতলায় অবস্থিত কিং স্পা-তে এরপর চাকরি শুরু করে নির্যাতিতা।
নির্যাতিতা অভিযোগ করে, চাকরিতে তার প্রথম দিনই তাকে জোর করে একটি ঘরে নিয়ে যায় যেখানে একজন লোক তাকে ধর্ষণ করে। এরপর সেই কিশোরী চাকরি ছাড়তে চাইলে তার ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে কাজে আসতে বাধ্য করা হয়। এরপর থেকে ৪ থেকে ৫ দিন রোজ তাকে ১৫ জন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ সেই কিশোরীর। পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে।