রীতিমতো অস্বস্তিকর ঘটনা। নাগাল্যান্ড থেকে আসা ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে কার্যত কাপড় খুলিয়ে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ বিমানবন্দরের কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে উঠেছে। আর এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নাতনির সঙ্গে মালো কিকোন নামে ওই বৃদ্ধা গুয়াহাটি থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। এদিকে লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদোলই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সিআইএসএফ তাঁকে কার্যত জোর করে কাপড় খোলার জন্য চাপ দেয় বলে অভিযোগ। তাঁর হিপ জয়েন্টে টাইটানিয়াম প্রতিস্থাপন করা রয়েছে। সেটি পরীক্ষা করার জন্যই তাঁকে কাপড় খুলতে বলা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
ওই বৃদ্ধার মেয়ে ডলি কিকোন অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত প্রখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ। তাঁর অশীতিপর মায়ের সঙ্গে এই ধরণের ব্যবহার নিয়ে তিনি টুইটারে প্রতিবাদ জানান।তিনি টুইট করে লেখেন, গুয়াহাটি এয়ারপোর্টে আমার ৮০ বছর বয়সী মাকে সিআইএসএফ সিকিউরিটি চেকের সময় কাপড় খুলতে বলা হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা মায়ের শরীরে থাকা টাইটানিয়াম হিম ইমপ্ল্যান্টের প্রমাণ চাইছিলেন। আনড্রেস হওয়ার জন্য তাঁকে বাধ্য করা হয়। এভাবে কি বয়স্কদের সঙ্গে ব্যবহার করা সমীচিন? এদিকে তাঁর এই টুইটের জেরে ব্যপক শোরগোল পড়ে যায়।
পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, হুইল চেয়ারে বসা মাকে আন্ডারগার্মেন্ট খুলে ধাতব হিপ ইমপ্ল্যান্টের প্রমাণ দেখাতে বলা হয়েছিল। ডলি কিকোন হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, আমার মা অত্যন্ত উচ্ছল, প্রাণবন্ত একজন মানুষ। এই ঘটনায় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিকে গুয়াহাটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য ডলি কিকনের কাছ থেকে ক্ষমা চায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক CISF আধিকারিক জানিয়েছেন, সিকিউরিটি প্রটোকল মেনেই ফিজিকাল চেকিং হয়েছিল। তবে ঠিক কী ঘটনা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থেই কর্তব্যরত জওয়ান ফ্রিস্কিং ও সিকিউরিটি চেকিংয়ে সন্তুষ্ট না হলে তিনি আরও তৎপর হন। তবে টুইটের পরে সিআইএসএফের পদক্ষেপে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে ওই পরিবার। তবে বৃদ্ধার কন্যার দাবি, সুরক্ষা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। কিন্তু চেক করার সময় যাত্রীদের মর্যাদাও দেখা দরকার।