করোনার থাবায় আপাতত কয়েক দিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেল গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। আগামী রবিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হোস্টেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের করোনা পরীক্ষা করে ২০ জনের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তাদের থেকে বাকি পড়ুয়াদের মধ্যে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অসম সরকারের নির্দেশে সেখানে পড়ুয়াদের স্ক্রীনিং টেস্ট করা হচ্ছিল। গত সাত দিন ধরে চলছিল এই স্ক্রিনিং টেস্ট। সোমবার প্রথমে ১৫ জন পড়ুয়ার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে আরও পাঁচজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার একটি নির্দেশিকা জারি করে বুধবার থেকে পাঁচ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন বন্ধের কথা ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে হোস্টেলগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাইরের কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলে নির্দেশে জানানো হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল কাজকর্ম চালানোর জন্য খুব কম সংখ্যক কর্মী শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন।
এছাড়াও হোস্টেলগুলিকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা খোঁজার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। পড়ুয়াদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ হওয়ায় সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হোস্টেলের ১০ জন পড়ুয়ার মধ্যে থাবা বসিয়েছে করোনা।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গুয়াহাটির ডি বড়ুয়া কলেজেও বেশ কয়েকজন পড়ুয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গুয়াহাটি স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই কলেজের ৬ জন পড়ুয়া সংক্রমিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অসমে বর্তমানে মোট সক্রিয় করোনা সংক্রমিত রয়েছেন ১০৯৩ জন। ইতিমধ্যেই সেখানে টিকা দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৫২৬ জনকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন অসমের স্বাস্থ্য দফতর।