জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দুপক্ষের তরফের দাবি খারিজ করে দিল বারাণসী জেলা আদালত। সেই দাবিতে, আর্জি জানানো হয়েছিল যাতে মসজিদ চত্বরে উদ্ধার হওয়া শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিং করা যায় ও তার বিজ্ঞানসম্মত তদন্ত করা যায়। সেই আবেদন খারিজ করেছে কোর্ট।
উল্লেখ্য, হিন্দুপক্ষের তরফে যে আবেদন করা হয়েছিল, তার বিরোধিতা করে মুসলিম পক্ষ। সেই বিরোধিতার আর্জি নিয়ে তারা বারাণসী আদালতের দ্বারস্থও হয়। এর আগে ৫ জন মহিলা ২০২১ সালের অগস্ট মাসে আদালতের দ্বারস্থ হন এই মামলা ঘিরে। তাঁদের দাবি ছিল জ্ঞানবাপী কম্প্লেক্সে শ্রীঙ্গার গৌরীর পুজো করার অনুমতি তাঁদের দিতে হবে। তাঁদের দাবির পর, সেখানে ভিডিয়োগ্রাফিক সমীক্ষার নির্দেশ দেয় বারাণসী আদালত। ভিডিয়োগ্রাফিক সমীক্ষার সময় হিন্দুপক্ষের আইনজীবী দাবি করেন যে, সেখানে ‘ওজুখানার’ পাশে ‘শিবলিঙ্গ’ উদ্ধার হয়েছে। উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে যে জায়গার কথা বলা হচ্ছে, সেটি ইসলাম ধর্মমতে একটি পবিত্র এলাকা, যেখানে সেই ধর্মের কিছু রীতি পালিত হয়। এদিকে, হিন্দুপক্ষের দাবি ছিল যে, সেখানে যে বস্তুটি উদ্ধার হয়েছে, তা শিবলিঙ্গ। আর সেখানে বৈজ্ঞানিক তদন্ত করে জানতে হবে যে শিবলিঙ্গটি কত দিনের পুরনো। সেই কারণেই ওই কার্বন ডেটিং এর আর্জি জানানো হয়। এরপরই সেই আবেদন বারাণসী জেলা আদালতে খারিজ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, এই উদ্ধার হওয়া বস্তুটিকে যখন হিন্দুপক্ষ শিবলিঙ্গ বলে দাবি করছে, তখন মুসলিম পক্ষ সেটিকে ফোয়ারার অংশ বলে দাবি করছে। ফলে সেই বস্তুটির সঠিক পরিচিতি নিয়ে বিতর্ক থেকে গিয়েছে। এর আগে, এই মামলা ঘিরে মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, জ্ঞানবাপী মামলা বারাণসী জেলা আদালতেই হবে। তারপর এই মামলাসেখানে অগ্রসর হচ্ছে।