বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Gyanvapi 'Shivling' Carbon Dating: ‘ধর্মবিরোধী’, জ্ঞানবাপীর ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিংয়ে আপত্তি হিন্দুপক্ষের একাংশের

Gyanvapi 'Shivling' Carbon Dating: ‘ধর্মবিরোধী’, জ্ঞানবাপীর ‘শিবলিঙ্গে’র কার্বন ডেটিংয়ে আপত্তি হিন্দুপক্ষের একাংশের

জ্ঞানবাপী মসজিদ  (HT_PRINT)

রাখি সিং দাবি করেন, ‘শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিং ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ। এটা সকল সনাতনির বিশ্বাসের উপর আঘাত।’ এদিকে বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের সভাপতি জিতেন্দ্র সিং দাবি করেন, কার্বন ডেটিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ ধর্ম অবমাননার শামিল।

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো করার অনুমতি চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে ভিডিয়ো সমীক্ষা হয়েছিল মসজিদের। সেই সময় মসজিদের ওজুখানায় একটি পাথর দেখা যায়। সেই পাথরটিকে ‘শিবলিঙ্গ’ বলে দাবি করেন মামলাকারীরা। নিজেদের দাবিকে প্রমাণ করতে ‘কার্বন ডেটিং’-এর প্রস্তাবও করেন তারা। সম্প্রতি সেই সংক্রান্ত মামলার আবেদন গ্রহণ করেছে বারাণসী জেলা আদালত। তবে এরই মাঝে ‘কার্বন ডেটিং’ নিয়ে মতভেদ গেল হিন্দুপক্ষের মধ্যেই।

মামলাকারী মহিলাদের অন্যতম রাখি সিং দাবি করেন, ‘শিবলিঙ্গের কার্বন ডেটিং ধর্মবিরোধী কার্যকলাপ। এটা সকল সনাতনির বিশ্বাসের উপর আঘাত।’ এদিকে বিশ্ব বৈদিক সনাতন সংঘের সভাপতি জিতেন্দ্র সিং দাবি করেন, কার্বন ডেটিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ ধর্ম অবমাননার শামিল। কার্বন ডেটিংয়ের দাবিকে ‘প্রচারাভিযান’ বলে আখ্যা দেন তিনি।

জ্ঞানবাপী মসজিদের ওজুখানায় থাকা ‘পাথর’কে হিন্দুপক্ষ ‘শিবলিঙ্গ’ বলে দাবি করে আসছে। এই আবহে এই পাথরের কার্বন ডেটিংয়ের দাবি ওঠে। সেই দাবি জানিয়ে একটি মামলার আবেদন করা হয়েছিল বারাণসী জেলা আদালতে। সেই আবেদন গ্রহণ করে বারাণসী আদালত। বিচারক একে বিশ্বেস্বর জানান, জ্ঞানবাপী মসজিদ-শৃঙ্গার গৌরী বিবাদ সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ সেপ্টেম্বর।

উল্লেখ্য, পাঁচজন মহিলা জ্ঞানবাপী মসজিদকে হিন্দু মন্দির দাবি করে পুজো করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন বারাণসীর আদালতে। এরপর সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত একটি সমীক্ষার নির্দেশ দেয়। বিতর্ক সত্ত্বেও সেই সমীক্ষা সম্পন্ন হয়। ১৪ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত চলা এই সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে ১২ পৃষ্ঠার রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল। এদিকে মুসলিম পক্ষের দাবি, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন অনুযায়ী পুজোর দাবি জানিয়ে এই মামলা ভিত্তিহীন। যদিও হিন্দুপক্ষে দাবি, ১৯৪৭ সালের পরেও এখানে পুজো হয়েছে। প্রমাণ হিসেবে ১২ জন সাক্ষীকে পেশ করা হয়েছিল আদালতে। এই আবহে আদালত জানিয়ে দেয়, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে পুজোর দাবি জানানো মামলার শুনানি হবে। এদিকে অঞ্জুমানে ইন্তেজামিয়া কমিটি জানিয়েছে, বারাণসী আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তারা এলাহাবাদ হাই কোর্টে যাবে। আর এসবের মাঝেই এবার ওজুখানার পাথরের কার্বন ডেটিং নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিল হিন্দুপক্ষে।

 

 

বন্ধ করুন