৬দিন ধরে সার্ভারে গোলোযোগ। মারাত্মক সমস্য়ায় এইমস। তবে এবার হ্যাকাররা ক্রিপটোকারেন্সিতে ২০০ কোটি টাকা অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের কাছ থেকে চেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে গত বুধবার সকাল থেকেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রায় ৩-৪ কোটি রোগীর তথ্য়ও এবার সমস্য়ায় পড়তে পারে। এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে জরুরী পরিস্থিতি, আউটডোর পরিষেবা, ইনডোর পরিষেবা, ল্যাবেরটর সর্বত্র সমস্যা দেখা দিয়েছে। সার্ভার বসে যাওয়ার হাতে কলমে কাজ করতে হচ্ছে। এর জেরে একাধিক রিপোর্ট অনলাইনে বের করা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সমস্যায় পড়ে গিয়েছে।
এদিকে এই সাইবার অ্য়াটাকের পেছনে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ইন্ডিয়া কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম, দিল্লি পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা এনিয়ে তদন্ত করছেন।
এদিকে এই ঘটনায় তোলাবাজি, সাইবার টেররিজমের অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিকে ইতিমধ্য়েই তদন্তকারী আধিকারিকরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছেন সমস্ত কম্পিউটার থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা খুলে দিন। মূলত পরবর্তী ক্ষেত্রে এই অ্যাটাক যাতে না হয় সেকারণেই প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই পদক্ষেপ।
এদিকে এইমসের সার্ভারে একাধিক ভিআইপি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, একাধিক মন্ত্রী, আমলা, বিচারপতিদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য রক্ষিত রয়েছে। সেই তথ্য়ে হ্যাকারর হাত দিয়েছে কি না সেটা জানার চেষ্টা হচ্ছে।
সংবাদ সংস্থাকে এক সোর্স জানিয়েছেন, হ্যাকাররা প্রায় ২০০ কোটি টাকা ক্রিপটোকারেন্সির মাধ্যমে দেওয়ার জন্য দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এনআইসি টিম ইতিমধ্যেই সার্ভারে রাখা যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখছে। কোথাও ভাইরাস রয়েছে কি না সেটাও পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।