বুকারজয়ী লেখক সলমন রুশদির উপর গত ১২ অগস্ট নশংস হামলা চালিয়েছিল হাদি মাটার নামক এক যুবক। গুরুতর অবস্থায় লেখককে এরপর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। এদিকে সলমন রুশদির সুস্থ হওয়ার খবর পেয়ে হতবাক হালমাকারী হাদি মাটার। এই বিষয়ে হামলাকারী বলেন, ‘আমি যখন শুনলাম যে তিনি বেঁচে গিয়েছেন, আমি অবাক হয়েছিলাম।’
হাদি মাটার জানায়, বিতর্কি বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর প্রথম কয়েক পাতা পড়েছিল সে। হাদির বক্তব্য, ‘আমি ওই ব্যক্তিকে (সলমন রুশদি) পছন্দ করি না। আমি তাঁকে খুব একটা ভালো মানুষ মনে করি না।’ হাদি আরও বলে, ‘আমি আয়াতুল্লাহকে সম্মান করি। আমি মনে করি তিনি একজন মহান ব্যক্তি। সলমন রুশদি আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, ইসলামকে আক্রমণ করেছিলেন।’
আরও পড়ুন: নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হোস্টেলের মেয়েদের শ্লীলতাহানি নিরাপত্তারক্ষীর,ভাইরাল ভিডিয়ো
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত হাদি ইরানি সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে ইরানে নিষিদ্ধ আছে রুশদির লেখা 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'। একাধিক মুসলিম সংগঠনের দাবি, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেন সলমন। ১৯৮৯ সালে ইরানের নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই 'ফতোয়া' জারি করেছিল। রুশদিকে হত্যার ডাক দিয়েছিল। খামেনেই বলেছিল, যে সলমনকে হত্যা করবে তাঁকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হবে। পরে ২০১২ সালে সেই ঘোষিত পুরস্কারের পরিমাণ আরও বাড়ানো হয়েছিল। হাদির ফেসবুক প্রোফাইলে আয়াতোল্লাহ খামেনেইর ছবি রয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, হাদি ধারাবাহিক ভাবে ইরানের কট্টপন্থী সরকার ও রেভোলিউশনারি গার্ডকে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করত। এদিকে হাদির কথা থেকেও স্পষ্ট যে আয়াতোল্লাহর সেই ‘ফতোয়া’ মেনেই সে সলমনের উপর হামলা চালিয়েছিল।
আরও পড়ুন: নড়ে গিয়েছে আস্থা! ‘আমাকে বাঁচতে দিন’, ধর্ষকদের মুক্তির পর আর্তি বিলকিসের
এদিকে হাদারি মা সিলভানা ফারদোস এক ব্রিটিশ সংবাদপত্রকে জানান, ২০১৮ সালে মধ্য প্রাচ্যে গিয়েছিল ছেলে। এরপর থেকেই বদলে গিয়েছিল সে। মাসের পর মাস ধরে আমাকে, ওর বোনকে কিছু বলত না। কেন তাকে কঠোরভাবে মুসলিম রীতি মেনে বড় করে তুলিনি তা এনিয়ে আমাকে বকাঝকাও করত।