সম্প্রতি তেজস যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি নিয়ে হ্যালের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বায়ুসেনা প্রধান। এই আবহে সোমবার হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের প্রধান ডিকে সুনীল বললেন, সমালোচনার মোকাবিলা করার পরিবর্তে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভারতীয় বিমান বাহিনীকে সরবরাহ করাই লক্ষ্য তাদের। তিনি বলেন, 'কোনও বিতর্কে জড়ানো আমাদের লক্ষ্য নয়। আমি বরং বিমান সরবরাহে আমার দলের শক্তিকে চ্যানেলাইজ করতে চাই। 'তু তু ম্যায় সে কুছ নেহি হোগা' (ঝগড়া করে কোনও লাভ হবে না)।' (আরও পড়ুন: রাজধানী না বনগাঁ লোকাল, ধরতে পারবেন না, হাওড়া থেকে ছাড়া ট্রেনে 'পটনা আতঙ্ক')
আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকের অবৈধবাসী ভারতীয়দের গ্রহণ করতে চলেছে এই মধ্য আমেরিকার দেশ!
উল্লেখ্য, এর আগে ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং বলেছিলেন, বায়ুসেনার হাতে সময়মতো তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকালসের ওপর ঠিক ভরসা করতে পারছেন না তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১০ ফেব্রুয়ারি একটি ভিডিয়ো তোলা হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। তাতেই এয়ার চিফ মার্শালকে বলতে শোনা যায়, 'হ্যালকে আমাদের উদ্বেগ মেটাতে হবে। আমাদের আরও বেশি ভরসা দিতে হবে। তবে এই মুহূর্তে আমি হ্যালের ওপর বেশি ভরতা করতে পারছি না। এটা আসলে ঠিক না। আমি হ্যালকে আমাদের চিন্তা এবং উদ্বেগের কারণগুলি বলতে পারি। এই পর্যন্তই।' (আরও পড়ুন: দেশে ফেরার বার্তা হাসিনার, ডেভিল হান্ট অভিযান নিয়ে ইউনুস সরকারকে তোপ)
আরও পড়ুন: পরীক্ষা আধা যেতে না যেতেই প্রশ্নফাঁস নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল নানা দাবি, মুখ খুলল বোর্ড
উল্লেখ্য, সময়মতো ডেলিভারি না করতে পারার জন্যে এর আগেও হ্যালের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিমান বাহিনীর প্রধান। এই আবহে তাঁর সাম্প্রতিকতম মন্তব্যের পরও মুখ খুলে হ্যাল চেয়ারম্যান বলেন, 'বায়ুসেনা প্রধানের উদ্বেগ যথার্থ। তবে কিছু সমস্যা ছিল, তা এখন মিটে গিয়েছে।' তিনি দাবি করেন, শীঘ্রই তারা তেজস ডেলিভারি শুরু করবে। তিনি বলেন, 'আমরা সব কাঠামো তৈরি করেছি। একবার আমাদের হাতে ইঞ্জিন চলে এলে আমরা বিমান ডেলিভারি শুরু করে দেব।' আর এবার তিনি বললেন, ঝগড়া না করে কাজে মন দিতে চাইছেন তাঁরা। (আরও পড়ুন: ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মুজিবের বাড়ি ভাঙার দায় জনতার ওপর চাপালেন বাংলাদেশি উপদেষ্টা)
আরও পড়ুন: গুলিবিদ্ধ হয় বাংলাদেশি,ধৃত ১০ অনুপ্রবেশকারী! জলপাইগুড়ির সীমান্তে পদক্ষেপ BSF-এর
উল্লেখ্য, ৮৩টি তেজস মার্ক-১এ যুদ্ধবিমানের জন্যে গত ২০২১ সালে ৪৬,৮৯৮ কোটি টকার চুক্তি হয়েছিল ভারত বায়ুসেনা এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের। তেজসের নৌ সংস্করণ ব্যবহার করতে চলেছে ভারতীয় নৌসেনাও। এরই মধ্যে তেজসের মার্ক-১ ফাইটার জেটের দু’আসন বিশিষ্ট নয়া প্রশিক্ষণ সংস্করণটি আনুষ্ঠানিক ভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে বায়ুসেনার হাতে। নরেন্দ্র মোদী সেই প্রশিক্ষণ বিমানেই চেপেছিলেন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি সেই বিমানে করে আকাশে ওড়েন ভারতীয় বিমান বাহিনী এবং স্থল সেনার প্রধানরাও। (আরও পড়ুন: কানাডায় অবতরণের সময় ৮০ যাত্রী নিয়ে উলটে গেল বিমান, তারপর...)
প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বায়ুসেনাকে ১৬টি তেজস যুদ্ধবিমান সরবরাহ করার কথা ছিল হ্যাল-এর। তবে মার্কিন সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিকের জেরে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। রিপোর্ট অনুযায়ী, তেজস যুদ্ধবিমান ভারতে তৈরি করা হলেও এর ইঞ্জিন সরবরাহ করার কথা জেনারেল ইলেকট্রিকের। তবে তারা সময় মতো ইঞ্জিন সরবরাহ করছে না। আর তাই পূর্বনির্ধারিত সময় মতো বায়ুসেনর হাতে তেজস যুদ্ধবিমান তুলে দিতে ব্যর্থ হয়েছে হ্যাল। এই আবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নতুন বিমানের এফ৪০৪ ইঞ্জিন সরবরাহের গতি বাড়ানোর জন্য মার্কিন সংস্থা জিই এরোস্পেসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছে হ্যাল। বস্টনের কাছে একটি কারখানায় গিয়ে এই ইঞ্জিন তৈরির কাজ দেখে এসেছেন শীর্ষ ভারতীয় আধিকারিকরা।