HAL to make New Planes for IAF: উত্তর-পূর্বে 'অপারেশনে'র জন্য HAL-এর থেকে ৬৬৭ কোটিতে ছ'টি বিমান কিনল বায়ুসেনা

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'উত্তর-পূর্ব এবং ভারতের দ্বীপগুলিতে অবস্থিত আধা তৈরা বা ছোট রানওয়ে থেকে স্বল্প দূরত্বের অপারেশনের জন্য বিমানটি উপযুক্ত। বাহিনীতে এই ছ'টি বিমান সংযোজনের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বায়ুসেনার অপারেশনাল সক্ষমতাকে আরও জোরদার হবে।'

উত্তর-পূর্বে 'অপারেশনে'র জন্য HAL-এর থেকে ৬৬৭ কোটিতে ছ'টি বিমান কিনল বায়ুসেনা (A. Bharat Bhushan Babu Twitter)

ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি বৃদ্ধি করতে বড় পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে ছ'টি ডর্নিয়ার-২২৮ বিমান তৈরির বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজনাথ সিংয়ের মন্ত্রক। এই ছ'টি বিমানের জন্য হ্যাল-এর সঙ্গে ৬৬৭ কোটি টাকার চুক্তি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই নিয়ে শুক্রবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'উত্তর-পূর্ব এবং ভারতের দ্বীপগুলিতে অবস্থিত আধা তৈরা বা ছোট রানওয়ে থেকে স্বল্প দূরত্বের অপারেশনের জন্য বিমানটি উপযুক্ত। বাহিনীতে এই ছ'টি বিমান সংযোজনের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বায়ুসেনার অপারেশনাল সক্ষমতাকে আরও জোরদার হবে।' (

জানা গিয়েছে, এই বিমানগুলি মূলত পরিবহণের কাজেই ব্যবহৃত হবে। বিমানগুলিতে আপগ্রেডেড ইঞ্জিন বসানো হবে। এর আগে মঙ্গলবারই হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডকে ৭০টি HTT-40 বেসিক প্রশিক্ষক বিমানের বরাত দিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ৬,৮০০কোটি টাকায় এই ৭০টি বিমান হ্যাল-এর থেকে কিনতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, আগামী ছয় বছরে ৭০টি HTT-40 বিমান সরবরাহ করবে হ্যাল। উল্লেখ্য, বহুদিন ধরেই নতুন প্রশিক্ষক এয়ারক্রাফ্ট প্রয়োজন অনুভব করছিল বায়ুসেনা। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং ‘আত্মনির্ভর ভারত’ নীতি অনুসরণ করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যাল-কে এই বরাত দেওয়া হয়।

এদিকে পুরনো চিতা এবং চেতক হেলিকপ্টারের পরিবর্ত হিসেবে লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার ‘প্রচণ্ড’ তৈরি করেছে হ্যাল। গত মাসে বেঙ্গালুরুতে ইয়ালেহাঙ্কা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত ‘অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩’ অনুষ্ঠানে এই নয়া হেলিকপ্টার দেখা গিয়েছিল। ভারতীয় সেনা এবং বায়ুসেনা ভবিষ্যতে এই হেলিকপ্টারটি ব্যবহার করবে বলে জানা গিয়েছে। লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা সেনার গতিবিধি নজরে রাখতে এই হেলিকপ্টার বেশ কার্যকরী হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই হেলকপ্টারকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে আরও কিছুটা কাজ করতে হবে বলে জাবা গিয়েছে।