২০২১-র ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে ৬৫ কোটি ভারতীয় অর্থাৎ ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা করোনাভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন বলে মনে করছে সরকারি কমিটি। তবে এর ফলে ফেব্রুয়ারির পর সংক্রমণের গতি অনেকাংশে কমবে বলেই মনে করছে কমিটি। এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫.৫ লাখ। সারা বিশ্বে আমেরিকার পরেই আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে ভারত।
কোভিডের প্রথম ওয়েভ ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে আসছে ভারতে সেপ্টেম্বরের মাঝ থেকে। ক্রমশ কমছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। বর্তমানে দৈনিক ৬০ হাজার কেসের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে দৈনিক কেসের সংখ্যা।
কিন্তু বাস্তবে অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে মনে করছে সরকারের করোনা সংখ্যা বিষয়ক পূর্বাভাসের কমিটি। রয়টার্সকে কমিটির সদস্য তথা আইআইটি কানপুরের শিক্ষক মণীন্দ্র আগরওয়াল বলেন যে তাঁদের মডেল অনুযায়ী বর্তমানে ৩০ শতাংশ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত। সরকারের দ্বারা করা সেরো সার্ভে অনুযায়ী ১৪ শতাংশ মানুষের শরীরে কোভিডের অ্যান্টিবডি আছে। কিন্তু অঙ্কের হিসেব বলছে সংখ্যাটি অনেক বেশি। আগরওয়ালের মতে জনসংখ্যা এতটাই বৃহৎ, সেরো সার্ভেতে স্যাম্পলিং অনেকটা ত্রুটিপূর্ণ হয় এর ফলে।
নিজেদের পদ্ধতির সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আগরওয়াল বলেন যে তাঁরা এসব কেসকেও গণ্য করেন যেগুলি রিপোর্ট হচ্ছে না, যাতে নিজেদের হিসেবে দুটি পৃথক শ্রেণি করা যায়। আইসিএমআর কমিটির হিসেব অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির পর কোভিড অনেকটা স্তিমিত হয়ে যাবে। কিন্তু মাস্ক, সামাজিক দূরত্বের বিকল্প নেই সেটাও জানিয়েছেন তাঁরা।
নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দীপাবলীর সময় কোভিডের কামড় আরও বাড়তে পারে, এই বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।