সকালে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে পুলিশ কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। আর এবার কলকাতা বিমানবন্দরের ব্যারাক থেকে উদ্ধার হল এক সিআইএসএফ কনস্টেবলের ঝুলন্ত দেহ। মৃত কনস্টেবলের নাম রঘুনাথ পাল। বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরের কার্গোর সিআইএসএফ ব্যারাক থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই সিআইএসএফ কনস্টেবল। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এনএসসিবিআই থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় আদালত চত্বর থেকে উদ্ধার পুলিশের গুলিবিদ্ধ দেহ, তদন্তে লালবাজার
জানা গিয়েছে, রঘুনাথ পাল বর্ধমানের হিরাপুরের বাসিন্দা। আজ সকালে তাঁকে কলকাতা বিমানবন্দরের ইন্টারন্যাশনাল সিআইএসএফের ব্যারাকে প্রথমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সহকর্মীরা। পরে খবর দেওয়া হয় এনএসসিবিআই থানায়। সেখান থেকে পুলিশ গিয়ে জওয়ানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রচুর ঋণ হয়ে গিয়েছিল রঘুনাথের যার ফলে কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তিনি পরিবারকেও গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তার জেরেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।
জানা গিয়েছে, রঘুনাথ পালের বয়স ৪০ বছর। বর্ধমানের হীরাপুরের বাসিন্দা হলেও তিনি কলকাতা বিমানবন্দর লাগোয়া শরৎ কলোনিতে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। আন্তর্জাতিক কার্গোর চার তলায় জওয়ানদের থাকার ব্যারাকটি অবস্থিত। আজ সকালে সেখানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়।
যদিও, বিমানবন্দরে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে গত জানুয়ারিতে কর্তব্যরত অবস্থাতেই নিজের সার্ভিস রাইফেলের গুলিতে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এক সিআইএসএফ জওয়ান। ঘটনাটি ঘটেছিল গুজরাতের সুরাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের শৌচাগার থেকে ওই জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
তিনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোতায়েন ছিলেন। শৌচাগারে গিয়ে ওই জওয়ান নিজের সার্ভিস রাইফেল দিয়ে নিজের পেটে গুলি করেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে, আজ বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে এক পুলিশ কর্মীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। এক্ষেত্রেও মনে করা হচ্ছে তিনি নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।