আজ বিশ্ব মাতৃদিবস। ১৮৭২ সালে প্রথমবার মাতৃদিবস পালন শুরু হয়েছিল আমেরিকায়। মার্কিন কবি ও লেখক জুলিয়া ওয়ার্ড হাও এই দিবসটির ধারণা মানুষের মনে জন্ম দেন। মূলত 'দ্য ব্যাটল হিম অব দ্য রিপাবলিক' গানটির জন্য বেশি পরিচিতি ছিল জুলিয়ার। তবে ১৮৭২ সালে আমেরিকার বস্টনে প্রথম মাতৃ দিবসের সভা আয়োজন করেছিলেন তিনি। সেই থেকেই শুরু। সেই ধারা আজও চলছে।
অবশ্য শুরুটা জুলিয়ার হাত ধরে হলেও এই দিবসটি আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছিল মারিয়া রিভস জার্ভিসের হাত ধরে। জার্ভিসের মা অ্যান ছিলেন 'মাদারস ডে ওয়ার্ক ক্লাব'-এর প্রতিষ্ঠাতা। ১৯০৫ সালে মারা যান অ্যান। তাঁর মৃত্যুর পর মেয়ে আনা মায়ের স্বপ্নপূরণে কাজ শুরু করেন জার্ভিস। তাঁর মায়ের সম্মানে ১৯০৮ সালে মাতৃ দিবস পালন শুরু জন্য আমেরিকা জুড়ে জাতীয় স্তরে প্রচার শুরু করেন জার্ভিস। তবে মার্কিন কংগ্রেস মাতৃ দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাবটি নাকচ করে দেয়।
এর ৬ বছর পর, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে জাতীয় মা দিবসের স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। আনার সেই প্রচেষ্টা দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই দিনটি।
আর এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে স্মরণীয় করে তুলতে Google-এর তরফে বিশেষ Google Doodle। মা এমনই একটা জিনিস যার সঙ্গে পৃথিবীর কোনও দামী বস্তুর তুলনা হয় না। প্রতিটি মানুষের জীবনেরই অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ মা। আর এই মায়ের জন্য কোনও বিশেষ দিনের দরকার হয় না। মায়ের জন্য সম্মান, ভালবাসা, শ্রদ্ধা জানাতেই এই বিশেষ দিনের আয়োজন। মায়ের জন্য নির্ধারিত এই স্পেশ্যাল দিনটি শুধু মায়ের। তাই বিশেষ এই দিনে প্রত্যেকেই নিজের মতোন করে মাকে বিশেষ সম্মান জানায়।
এবার Google-এর তরফে বিশেষ Google Doodle-এর সাহায্যে আপনি সহজেই আপনার মা'কে পাঠাতে পারেন শুভেচ্ছা বার্তা বা ডিজিটাল কার্ড। তাও আবার নিজের মনের মত করে তৈরি করে। করোনার জেরে যখন আজ সারা বিশ্ব ঘরে বন্দি তখন Google-এর তরফে তাদের সার্চ ইঞ্জিনের কোয়ারির উপরে রয়েছে এই বিশেষ Doodle। যাতে ক্লিক করলেই আপনি সহজে পৌঁছে যাবেন Google এর ক্রাফ্ট সেকশনে। সেখানে একটি ছোটো উইন্ডোর মধ্যে আপনি তৈরি করে নিতে পারবেন নিজের মনের মত ডিজিটাল কার্ড। শুধু তাই নয়, এক ক্লিকে আপনি ফেসবুক, টুইটার, হোয়াট্সঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামে বা ইমেলের মাধ্যমে আপনি পাঠাতে পারেন মাকে। তবে আর বসে না থেকে প্রতিবেদনটি পড়া শেষ করেই Google -এর পেজে গিয়ে তৈরি করে ফেলুন এই বিশেষ দিনে আপনার মনের মত ডিজিটাল কার্ড।