শিশির গুপ্ত
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কাশ্মীরে নতুন ভোরের ইঙ্গিত। যেই উপত্যকায় একদা জাতীয় পতাকা তোলাই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, সেখানে তেরঙা উড়ল গর্বের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের সক্রিয় জঙ্গিদের বাড়িতে। অনেক ক্ষেত্রে তাদের বাড়ির লোকেরাই পতাকা উত্তোলনে অংশগ্রহণ করলেন। এভাবেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি ও তাদের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়া ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া গেল কড়া বার্তা।
পুলওয়ামার ত্রালের হারদুমির গ্রামে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী গওহর মঞ্জুর মীর, ত্রালের মংঘামা গ্রামে আসিফ শেখ এবং আইজাজ আহমেদ ভাটের বাড়িতে পতাকা উত্তোলিত হয়েছে।

বুদগামের সারাই চাদুরায়, এলইটি-এর সক্রিয় সন্ত্রাসী আকিব নাজির শেরগোজরির বাড়িতে পতাকা লাগানো হয়েছিল।

এছাড়াও, অনন্তনাগ জেলায় হিজবুল মুজাহিদিনের কমান্ডার জাফর হুসেন ভাট এবং আমির খানের বাড়িতে পতাকা তোলা হয়েছিল।

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে হর ঘর তিরঙ্গা, অর্থাৎ প্রতি ঘরে জাতীয় পতাকা তোলার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তারই অংশ হিসেবে সমস্ত সন্ত্রাসবাদীর বাড়িতে তেরঙা উত্তোলন করা হচ্ছে।
নিহত জঙ্গি রায়জ নাইকু-এর বাবাও দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় তাঁর বাসভবনে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ২০২০ সালে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছিল ৩৫ বছরের নাইকু। বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর কাশ্মীরে সন্ত্রাসের মুখ হিসাবে উঠে এসেছিলেন নাইকু ওরফে জুবায়ের উল ইসলাম ও বিন কাসিম। পাক এজেন্ডা কাশ্মীরে অডিয়ো ও ভিডিয়োর মাধ্যমে সে প্রচার করত। পাঁচ ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ে তার মৃত্যু হবে।