বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Hardik Patel Leaves Congress: আর দেওয়া হল না রাহুলের SMS-এর জবাব! গুজরাটে কংগ্রেস ছাড়লেন হার্দিক প্যাটেল

Hardik Patel Leaves Congress: আর দেওয়া হল না রাহুলের SMS-এর জবাব! গুজরাটে কংগ্রেস ছাড়লেন হার্দিক প্যাটেল

কংগ্রেস ছাড়লেন হার্দিক প্যাটেল (ANI)

Hardik Patel: হার্দিক প্যাটেল বুধবার কংগ্রেসের সব পদ ও দল ছাড়ার ঘোষণা করেন। তবে এর বহু আগে থেকেই তাঁর দলত্যাগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। বিগত দিনে ধারাবাহিক ভাবে নিজের দলের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।

টুইটার বায়ো থেকে ‘কংগ্রেস’ শব্দটি আগেই মুছে দিয়েছিলেন। এবার টুইটে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছাড়লেন দলও। হার্দিক প্যাটেল বুধবার কংগ্রেসের সব পদ ও দল ছাড়ার ঘোষণা করেন। তবে এর বহু আগে থেকেই তাঁর দলত্যাগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। বিগত দিনে ধারাবাহিক ভাবে নিজের দলের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই কারণে জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছিল হার্দিকের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে। এই আবহে আজকে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগের ঘোষণা করলেন হার্দিক। তাঁর পদত্যাগ পত্রে, তিনি দলের প্রতি তাঁর হতাশা আড়াল করার কোনও চেষ্টা করেননি। তিনি বলেন যে পার্টিতে তাঁর গুরুত্বের অভাব ছিল এবং দলের একমাত্র অবস্থান হল প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রের সব পদক্ষেপের বিরোধিতা করা।

এর আগে হার্দিকের মান ভাঙাতে খোদ রাহুল গান্ধী ময়দানে নেমেছিলেন। তিনি এসএসএম করেছিলেন হার্দিককে। দলের মতভেদ মেটাতে ভারপ্রাপ্ত নেতাদের প্যাটেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন রাহুল। তবে রাহুলের এসএমএস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হার্দিক বলেছিলেন, ‘সময় পেলে জবাব দেব।’ তবে রাহুলকে আর মনে হয় সরাসরি জবাব দেওয়া হল না গুজরাতের পাটিদার সম্প্রদায়ের এই নেতার। এদিকে কংগ্রেস ছাড়তেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে।

এদিন নিজের পদত্যাগপত্রে হার্দিক লেখেন, ‘আমি যখনই সিনিয়র নেতৃত্বের সাথে দেখা করতাম, আমি সবসময় অনুভব করতাম যে নেতারা গুজরাটের জনগণের সমস্যা সম্পর্কে শুনতে আগ্রহী নন বরং তাঁদের মোবাইলে তাঁরা কী মেসেজ পেয়েছেন এবং এই জাতীয় অন্যান্য তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বেশি মগ্ন ছিলেন। যখনই আমাদের দেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল এবং যখন কংগ্রেসের নেতৃত্বের প্রয়োজন হয়েছিল, তখন কংগ্রেস নেতাদের বিদেশে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে! দলের সিনিয়র নেতারা এমন আচরণ করেন যেন তাঁরা গুজরাট এবং গুজরাটিদের ঘৃণা করেন। কীভাবে কংগ্রেস ভাবতে পারে যে গুজরাটের জনগণ তাঁদের বেছে নেবে?’ তিনি গুজরাটের কংগ্রেস নেতাদেরও তোপ দাগেন। বলেন, ‘আমার মতো নেতা যেখানে দিনে ৬০০ থেকে ৭০০ কিমি পথ পার করি জনগণের সাথে দেখা করার জন্য, সেখানে অন্য নেতারা এটা নিশ্চিত করতে গিয়ে কালঘাম ছোটান যে দিল্লি থেকে আগত নেতাদের সময় মতো চিকেন স্যান্ডউইচ পরিবেশন করা হয়েছে কি না।’

বন্ধ করুন