বিশ্বের সবথেকে চর্চিত, জনপ্রিয় এবং বিতর্কিত পরিবার হল ব্রিটেনের রাজপরিবার। প্রিন্সেস ডায়ানার বহু আগে থেকেই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কারণে ব্রিটিশ রাজপরিবার থেকেছে মিডিয়ার শিরোনামে। বিগত কয়েক বছর ধরে রাজপরিবারের সবথেকে চর্চিত সদস্যদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। হলিউড অভিনেতা মেগান মার্কেলের সঙ্গে বিয়ে, রাজপরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার মতো ঘটনা ব্রিটিশ মিডিয়ার কাছে 'গরম খবর'। এরই মাঝে সম্প্রতি মেগান বেশ কিছু বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন রাজপরিবারকে নিয়ে। দাবি করেছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ হওয়ায় তিনি কোনওদিনই রাজপরিবারের ‘সদস্য’ হয়ে উঠতে পারেননি। আর এবার নিজের আত্মজীবনীতে উইলিয়ামের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক নানা অভিযোগ এনেছেন হ্যারি। (আরও পড়ুন: খারাপ আচরণের জন্য হারান চাকরি, পুরোনো অফিসে ঢুকে প্রাক্তন বসকে গুলি ব্যক্তির)
আগামী ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত হতে চলেছে হ্যারির আত্মজীবনী 'স্পেয়ার'। সেই বইয়েরই এক অংশে তিনি দাবি করেছেন, উইলিমায় তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছিলেন একবার। মেগান মর্কেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কারণে প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে বচসা, হাতাহাতি হয় তাঁর। উইলিয়াম নাকি হ্যারির কলার টেনে তাকে মাটিতে আছাড় দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন। এদিকে মেগানকে নাকি 'অসভ্য' আখ্যা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি উইলিয়াম অভিযোগ করেছিলেন, মেগানের কারণেই রাজপরিবারে ভাঙন ধরেছিল।
দাদার সঙ্গে মারামারি প্রসঙ্গে হ্যারি নিজের বইতে লিখেছেন, 'সবকিছুই খুব তাড়াতাড়ি হয়েছিল। উইলিয়াম আমার কলার ধরে টান মারে। তাতে আমার গলার চেন ছিড়ে যায়। আমায় ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিল ও। কুকুরের খাবারের বাটির ওপরে গিয়ে পড়েছিলাম আমি। বাটি ভেঙে আমার পিঠে সেটার কিছু টুকরো ঢুকে গিয়েছিল। হতভম্ব হয়ে কয়েক মুহূর্ত আমি মাটিতেই শুয়ে ছিলাম। তারপর উঠে দাঁড়িয়ে উইলিয়ামকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলি।' দাবি করা হয়, ২০২০ সালে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল যখন রাজপরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ক্য়ালিফোর্নিয়ায় চলে আসার কথা ভাবছিলেন, সেই সময় এই বচসা হয়েছিল। হ্যারির দাবি, তাঁর পিঠে এখনও ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। হ্যারি আরও দাবি করেন, প্রথমে এই ঝামেলা নিয়ে তিনি মেগানকে কিছুই বলেননি। তবে পরে তাঁর পিঠের ক্ষত দেখেন মেগান। গোটা ঘটনা জানতে পেরে মেগান খুব দুঃখ পেয়েছিলেন বলে জানান হ্যারি।