করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশের উপর আছড়ে পড়ার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে অক্সিজেনের আকালের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এরপর বিভিন্ন ভাবে মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেনের উত্পাদন বাড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। তবে তাতেও বিরোধীদের তোপ দাগা বন্ধ হচ্ছিল না। এই আবহে দেশের অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে মুখ খুললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আগেও দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন ছিল। এখনও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে অক্সিজেন উপলব্ধ করা হচ্ছে।'
ডঃ হর্ষ বর্ধন এদিন আরও বলেন, 'অক্সিজেন সঠিক তথ্য থাকা খুপ জরুরি। অকারণে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ারও কোনও কারণ নেই। তাঁদের সেটা পাওয়া দরকার।' তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তথ্যের অভাবে অত্সিজেনে প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত।
এদিন হর্ষ বর্ধন বলেন, 'ভয় পেয়ে এখানে ওখানে দৌড়াবেন না। বেশির ভাগ রোগী যদি বাড়িতে থেকে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে সেভাবে চলেন, তাহলে বাড়িতে তিনি সেরে উঠবেন। আমি নিজে একজন চিকিত্সক হয়ে এই পরামর্শ দিচ্ছি।'
পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিয়ে আকালের অভিযোগও এদিন উড়িয়ে দেন ডঃ হর্ষ বর্ধন। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিনের ১৬.১৬ কোটি ডোজ পাঠানো হয়েছে। রাজ্যগুলির হাতে এখনও ভ্যাকসিনের এক কোটি ডোজ রয়েছে। যবে থেকে করোনার টিকাকরণ শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে এমন একটি দিনও এমন হয়নি, যে রাজ্যগুলিকে তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি।