'জিতলে ১০০ বাপ, হারলে কেউ নেই', মন্তব্য ভূপিন্দর হুডার, পালটা জবাবে রাহুল বললেন…

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আজকাল সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ব্যস্ত। এই আবহে মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশে আর বুধবার হরিয়ানায় বৈঠক করেন তিনি। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের পর এটাই ছিল রাহুল গান্ধীর প্রথম হরিয়ানা সফর। এ সময় তিনি রাজ্য কার্যালয়ে সব নেতার সঙ্গে বসেন। তাঁদের মধ্যকার মতভেদ নিয়ে আলোচনা করেন রাহুল। বৈঠকে একদিকে বসেছিলেন কুমারী শৈলজা, অন্যদিকে ভূপিন্দর সিং হুডাও পূর্ণ গুরুত্ব পান সেখানে। রণদীপ সুরজেওয়ালা, ক্যাপ্টেন অজয় যাদবের মতো অনেক প্রবীণ নেতাও এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। সভায় আসা সব নেতাই সমস্বরে বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। বৈঠকে শৈলজা রাহুল গান্ধীকে জানান, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর সাত মাস কেটে গিয়েছে, কিন্তু সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কোনও বৈঠকও ডাকেননি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। (

এরপরই ভোটে কংগ্রেসের পরাজয়ের কথা বলার পালা ছিল। নির্বাচনে পরাজয় নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে কিছু না বললেও সবাই ইশারায় ভূপিন্দর সিং হুডার দিকেই ইঙ্গিত করেন। তিনি হরিয়ানা নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন দলকে। দল জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়েও ছিলেন তিনি। এহেন ভূপিন্দরকে পরাজয়ের জন্য দায়ী করা হয় বৈঠকে। আর এতেই চটেছেন হুডা। এই নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, দল জিতলে তার কৃতিত্ব নিতে ১০০ জন বাপ হাজির হন, পরাজয়ের পালায় কেউ থাকে না। হুডা অবশ্য এই মন্তব্যের সঙ্গে নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেননি। তবে তাঁর বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকে যে দোষারোপের খেলা চলছে তাতে তিনি তিতিবিরক্ত। (

এর সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা জবাব দেন রাহুল গান্ধী। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, রাহুল গান্ধীও হুডার বক্তব্যের নিজস্ব স্টাইলে জবাব দিয়েছেন। রাহুল বলেছেন যে যাই ঘটুক না কেন, আমিই এর বাবা এবং ঠাকুরদা। সবকিছুর জন্য আমিই দায়ী। এর আগে গুজরাট থেকে মধ্যপ্রদেশ পর্যন্ত দলের নেতাদের সমালোচনা করে এসেছেন রাহুল। এহেন রাহুলের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গুজরাটে তিনি অনেক কংগ্রেস নেতাকে বিজেপির স্লিপার সেল বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এরপর মধ্যপ্রদেশে অনেক রাজ্য নেতাকে 'মিছিলের ঘোড়া' আখ্যা দিয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। অবশ্য হরিয়ানা কংগ্রেসের সভায় রাহুল গান্ধী তীক্ষ্ণ কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। হুডার কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, নেতৃত্ব দিতে হলে পরাজয়ের দায় তাঁকেও নিতে হবে।