অ্যালোপ্যাথি বনাম আয়ুর্বেদের লড়াইয়ের জেরে বেশ কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে পতঞ্জলি। এই আবহে অ্যালোপ্যাথিকে অসম্মান করে মন্তব্য করায় চাপে পড়তে হয় রামদেবকে। যোগগুরুকে তাঁর বক্তব্য ফেরাতে বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। এই আবহে করোনা চিকিৎসায় পতঞ্জলির উপর ভরসা দেখাল বিজেপি শাসিত হরিয়ানা।
এদিন এক টুইট বার্তায় হরিয়ানার স্বাস্থ্য মন্ত্রী অনিল ভিজ ঘোষণা করেন যে হরিয়ানায় করোনা আক্রান্তদের বিনামূল্যে কোরোনিল কিট দেওয়া হবে। কোরোনিল পতঞ্জলির উৎপাদিত একটি ইমিউনিটি বুস্টার। অনিল জানান, এই কোরোনিলের দামের আর্ধেক পতঞ্জলির তরফে দেওয়া হবে। বাকি আর্ধেক ব্যয় বহন করবে হরিয়ানা সরকার।
গতবছর তখনও বিশ্ব বাজারে আসেনি কোনও করোনা টিকা। সেই সময় যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি হঠাৎই ঘোষণা করে দেয়, তাদের আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোরোনিল করোনা প্রতিরোধে সক্ষম। যেই দাবি ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিস্তর বিতর্ক। কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই পতঞ্জলির এই দাবিতে তাদের বিরুদ্ধে এফআইএর-ও দায়ের করা হয়।
চাপে পড়ে পতঞ্জলি নিজেদের দাবি থেকে পিছু হটে৷ পতঞ্জলি পরে স্বীকার করে নেওয়া হয়, তারা কোরোনার কোনও ওষুধ বের করেনি। এই আবহে করোনা আক্রান্তদের কোরোনিল বিতরণ নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর বিতর্ক। করোনা দ্বিতীয় ঢেউতে যখন মানুষ নাজেহাল, তখন জনসাধারণের করের টাকা ব্যয় করে পতঞ্জলির ওষুধ বিতরণ নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
এদিকে কোরোনিল বিতরণ নিয়ে হরিয়ানা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জিনিয়েছেন যোগগুরু বাবা রামদেব। তিনি এক টুইট বার্তায় লেখেন, হরিয়ানা সরকারের মতো বাকি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে করোনা মুক্তির স্বার্থে এরকম পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পতঞ্জলি সবাইকে সাহায্য করতে বদ্ধপরিকর।